প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে যারা ভোট চোর বলে, তারা ভোট ডাকাত। জনগণ ভোট দিলে আবার আসবো, না দিলে নয়।
এসময় তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই।
বুধবার (২১ জুন) গণভবনে কাতার ও সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন দুপুর ১২টা ১২ মিনিটের দিকে গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের জন্য একটি নিদিষ্ট সময় আছে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মুদ্রাস্ফীতি কমাতে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক থাকে যারা সুযোগ সন্ধানী।
করোনা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমি আহ্বান করেছিলাম ১ ইঞ্চি জমি যাতে পতিত না থাকে। কানাডা থেকে ২০০ ডলারের গম আমরা ৬০০ ডলারে কিনেছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ব্যাংকিং সেক্টর থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক সেক্টরে বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিতে শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, এক কোটি মানুষকে আমরা খাদ্য সহায়তা দেবো। কম দামে খাদ্যদ্রব্য যাতে কিনতে পারে টিসিবির মাধ্যমে সে ব্যবস্থা চালু করেছি। রোজার সময় আমরা ইফতার পার্টি করিনি। রোজার সময় জিনিসের দাম বাড়েনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে যেন অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমে যায়। কিছু লোক মজুতদারি করে দাম বাড়ায়। তখন কিছু বিকল্প পদক্ষেপ নিতে হয়। যেমন পেঁয়াজ আমদানি যখন শুরু করলাম তখন পেঁয়াজের দাম কমে গেল।
মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মজুতদারি-কালোবাজারি করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এবার ভালো ফসল উৎপাদন হয়েছে, আগামীতে হবে। বর্ষাকালে কাঁচামরিচের দাম বাড়ে এজন্য আমি আহবান করব সবাই কাঁচা মরিচ কিনে রোদ্দুরে শুকিয়ে রেখে দেন। ফসল সংরক্ষণ করার জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করবো বিভাগীয় পর্যায়ে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যার যার জায়গায় উৎপাদন করলে কিন্তু আমাদের কষ্টটা কমে যায়। এত উর্বর জমি পৃথিবীর আর কোথাও নেই। একটা বীজ ফেললেই গাছ হয়।
প্রধানমন্ত্রী গত ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগদান শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে শনিবার দেশে ফিরেছেন। এছাড়া ২৩-২৫ মে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিনিয়র সাংবাদিকরা যোগ দিয়েছেন।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশ সফর সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
চস/স