সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমার সেনাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে ভোরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার খবর পাওয়ার কথা জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “মিয়ানমার থেকে থেকে তিনজন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা পালিয়ে এসেছে। তারা আমাদের বিজিবির হেফাজতে আছে।
“বিজেপির ১৭৯ জন যারা পালিয়ে আসছে, তাদেরকে নৌপথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার ইতিমধ্যে প্রস্তাব করেছে। আমরা আশা করি খুব সহসাই এই তিনজনসহ তাদেরকে নৌপথে ফেরত পাঠাতে পারব।”
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।
তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এরপর ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা। তাদেরকে মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
একইসাথে সোমালি জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে নাবিক ও জাহাজ শিগগিরই মুক্ত করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “সোমালিয়ার জলদস্যুদের সাথে ইতিমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে, তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমাদের নাবিকরা সবাই ভালো আছে, তারা কেবিনে আছে। তাদের খাবার-দাবারের কোনো সমস্যা নেই। নাবিকদের সাথে কোনো খারাপ আচরণ এ পর্যন্ত করা হয় নাই।”
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের একটি বন্দরে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরের কাছে এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালি জলদস্যুরা। জিম্মি হয় জাহাজের ২৩ নাবিক ও ক্রু সবাই বাংলাদেশি।
চস/স