কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে চলা ‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে রাজধানীর উত্তরায় সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে আহত হয়ে শতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে এসেছিল। এদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। এছাড়া তাদের হাসপাতালে ৭০ জন ভর্তি আছে। আর পাঁচজনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভবে নিহতদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
এদিকে উত্তরায় অবস্থিত বেসরকারি আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সাব্বির আহমেদ খান জানান, এই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ১২০ জন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, মাদারীপুরে সংঘর্ষ চলাকালে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার ফায়ার সার্ভিস।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরো প্রায় আড়াইশ জন উত্তরার বেসরকারি ক্রিসেন্ট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।
হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “অন্তত ২০০ থেকে ২৫০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। কেউ ভর্তি নেই এ মুহূর্তে। আহত আরো আসছে এখনও। তবে, সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। এ হাসপাতালে আহতদের কেউ মারা যায়নি।” সূত্র: বিবিসি বাংলা
চস/স