spot_img

২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

নিউ মার্কেট থেকে সহস্রাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৯

রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ১০০ এর বেশি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সামুরাই, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের ধারালো ছুরি। যা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হতো।

শনিবার (৯ আগস্ট) দিনভর এই অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এ সময় তিনটি দোকান থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়। তারা অবৈধ অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

রাতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ আর্মি ক্যাম্পে সংবাদ সম্মলেন সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, সম্প্রতি ঢাকায় কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গ্রেপ্তার অপরাধীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ‘সামুরাই’ ছুরি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় আসে। পরে গোয়েন্দা তথ্য এবং গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন সন্ত্রাসীর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এসব অস্ত্র নিউ মার্কেট এলাকা থেকে ভাড়া ও বিক্রি করা হতো এবং গ্রাহকের কাছে ‘হোম ডেলিভারি’ দেওয়া হতো।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ বলেন, দুই দিনের ধারাবাহিক অভিযানে নিউ মার্কেটের একাধিক দোকান ও গুদাম থেকে ১১০০ এর বেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র কোনো গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার হয় না। বরং গত কয়েক মাসে একাধিক হত্যা, আহত, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত হতো। আমরা যখন কোনো সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করি তাদের কাছ থেকে এই ধরনেরই সামুরাই পাওয়া যায়। তারা দোকানের সামনে অন্য জিনিসপত্র ওপেনে বিক্রি করলেও এসব সামুরাই গোপনে গোডাউনে রেখে দেয় এবং সেখান থেকে তারা কুরিয়ারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি দিত। কিছু কিছু জিনিস আছে এগুলো হাউজহোল্ডে ব্যবহৃত হয়। এগুলো ওপেনলি ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু এই সামুরাই তারা গোপনে বিক্রি করে এবং সেগুলো তারা হোম ডেলিভারি দেয়। এসব হোম ডেলিভারি তারা কিশোর গ্যাংদের কাছেই দিয়ে থাকে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৩০৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও প্রায় ৮২১৫ রাউন্ড এমনেশান উদ্ধার করতে পেরেছি সেগুলো সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিয়েছি। আজকের অভিযান ছাড়া ৫৩৮টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে বিভিন্ন থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের কাছে আদাবর শেরে বাংলা মোহাম্মদপুর থেকে ৮১৮ জনকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক ব্যবসায়ী ও দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তার করেছি।

তিনি জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্র গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অপরাধীদের কোনো যোগসাজশ আছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে। সেনাবাহিনী ব্যবসায়ী সমাজকে সতর্ক করে বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব ধারালো অস্ত্র বিক্রি না করতে।

সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা বা মজুত কোথাও দেখা গেলে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে খবর দিতে হবে। সকলের সহযোগিতায় কিশোর গ্যাং ও অপরাধী চক্রের কার্যক্রম রোধ করা সম্ভব।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss