spot_img

২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

মার্টিনেজের গোলে ফের কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই আজ ছিল চরম নাটকীয়তা। দর্শকদের চরম বিশৃঙ্খলার কারণে খেলা শুরু হয় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর। এরপর খেলা শুরু হলেও প্রথমার্ধে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের উপর। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি। তার বদলি হিসেবে নামা নিকো গঞ্জালেস এরপর গোলের দেখা পেলেও অফসিয়াডের কারণে তা বাতিল হয়।

এদিকে দুই দুলই দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও আর্জেন্টিনার উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে কলম্বিয়াই। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রেখেছে আলবিসেলেস্তেদের রক্ষণ। প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে স্কালোনির শিষ্যরাও গোলের লক্ষ্যে মরিয়া হয়েই লড়াই করেছে।

অবশেষে এল সেই কাঙ্ক্ষিত গোল। ১১২ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। ডি বক্সের সামনে থেকে লো সেলসো ফ্লিকে বল বাড়িয়ে দেন ডানদিকে থাকা লাওতারোকে। বল পেয়েই এই ফরোয়ার্ড ঢুকে পড়েন বক্সের মধ্যে। তার সামনে ছিলেন কেবল কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ভার্গাস। তার মাথার উপর দিয়ে জোরালো শট নিয়ে বল জালে জড়ান ইন্টার মিলানের তারকা মার্টিনেজ। এই গোলেই নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার ১৫তম কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়।

এর আগে ফাইনালের প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনো দলই। সমতায় থেকেই বিরতিতে গেছে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ করলেও দাপট বেশি ছিল কলম্বিয়ার। শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে তারা। ম্যাচের ৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত কলম্বিয়া। যদি না জন করদোবার নেওয়া শট গোলবার ঘেঁষে বাইরে চলে যেত।

ম্যাচের বয়স যখন ১৯ মিনিট, তখন গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের ভেতর মেসিকে বল বাড়ান ডি মারিয়া। অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়িয়ে মেসি সেই বল শট নিলেও দক্ষতার সঙ্গেই তা রুখে দেয় কলম্বিয়ার রক্ষণ। রক্ষণে প্রাচীর তুলে মেসির শট আটকে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিরত রেখেছে গোল করা থেকে।

গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পেরে ম্যাচের ৩২ মিনিটে ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকেই জোরাল শট নেন জেফারসন লের্মা। তবে তার সেই থাকেনি লক্ষ্যের। গোলবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায় বলটি। খানিক বাদে আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। সেই আক্রমণে ডি বক্সে কলম্বিয়ার ফুটবলারদের কড়া ট্যাকলের শিকার হয়ে মাঠেই ব্যথায় কুঁকড়ে উঠেন মেসি। এরপর খানিক পর মাঠে নেমে ফের খেলা শুরু করলেও দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি।

ম্যাচের ৬৩ মিনিটে অ্যাঙ্কেল ইনজুরির কারণে শেষ পর্যন্ত উঠে যেতে হয়েছিল লিওনেল মেসিকে। নামলেন নিকো গঞ্জালেস। ডি মারিয়া আর্মব্যান্ড বাঁধলেন শক্ত করে। যেন দায়িত্বটা বুঝে নিলেন। এরপর ডানপ্রান্ত থেকে একের পর এক বিপজ্জনক ক্রস করে গিয়েছেন ডি মারিয়া।

ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বল জালে জড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির বদলি হিসেবে নামা গঞ্জালেস পেয়েছিলেন জালের নাগাল। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। ৮৮ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় আর্জেন্টিনার। ডি মারিয়ার ক্রসে গোলের সামনে বাড়ান নিকো গঞ্জালেস। কিন্তু জুলিয়ান আলভারেজ সময়মতো পৌঁছাতে পারলেন না।

৮৭ মিনিটে ডি মারিয় আরেকটি ভালো ক্রস দিলেও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো বলটা রাখতে পারলেন না। শেষ মুহূর্তে কলম্বিয়ার বক্সে পরপর কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি ডি মারিয়া। এতে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য থাকল ম্যাচ। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss