প্রতি বছর ৮ সারা বিশ্বে ‘ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ‘ হিসেবে পালিত হয়। সমগ্র বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই এই দিনটি পালন করা হয়। মূলতঃ এই জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছে তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এবং এই রোগটির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।
২০০৯ সালে প্রথম এই দিবসটি পালন করা হয়। থ্যালাসেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অথবা সংক্ষেপে TIF এর উদ্যোগে এই দিনটি পালন করা শুরু হয়। থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তঘটিত রোগ, এই রোগের ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়।
সাধারণত তিন ধরনের থ্যালাসেমিয়া হয়- আলফা থ্যালাসেমিয়া , বিটা থ্যালাসেমিয়া ও থ্যালাসেমিয়া মাইনর।
সাধারণভাবে আলফা থ্যালাসেমিয়া কম তীব্র, এক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে বিটা থ্যালাসেমিয়ায় রোগের তীব্রতা বা প্রকোপ অনেক বেশি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। থ্যালাসেমিয়া হলে রক্তে লোহিত রক্তকণিকা ও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ খুব কমে যায়, যার ফলে আনিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা দেয়।
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ। বাবা এবং মা দুজনেই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে তাদের সন্তানের মধ্যে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
থ্যালাসেমিয়ার উপসর্গ থ্যালাসেমিয়া রোগের ধরনের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। বিটা থ্যালাসেমিয়া এবং কিছু ধরনের আলফা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত বেশিরভাগ শিশুর মধ্যে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তবে এর পরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
চস/স


