দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ১৫৪ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ১৭ মে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল ১২ মে, সেদিন ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
রোববার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৬৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আর সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ২৭৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৬৭৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭২ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৯৬ লাখ পেরিয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ লাখ ১০ হাজারের ঘরে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে সপ্তদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১০টি ল্যাবে ১১ হাজার ৮৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন, নারী ২ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৩ জনের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের ৬ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৬৬০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৭ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩০৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৯২৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৫০৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭০৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩১৮ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১২৭ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৮ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ২ হাজার ৮৯৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৩৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৬২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৫৭ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২৪০ জন সিলেট বিভাগের, ২৫৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১১৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
চস/আজহার