ডেলটা প্লাস নামে করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত নতুন এক ধরনের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। ডেলটা ধরনের তুলনায় ডেলটা প্লাস দ্রুত ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা। খবর বিবিসির।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা (হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি ইউকেএইচএসএ) ডেলটা প্লাস ধরন কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। তবে ডেলটা প্লাসে সংক্রমিত হলে গুরুতর অসুস্থতা হতে পারে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যেসব করোনার টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলো ডেলটা প্লাসের বিরুদ্ধেও কার্যকর থাকবে বলে গবেষকেরা আশা করছেন।
যুক্তরাজ্যে ডেলটা ধরনেই বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। তবে ডেলটা প্লাস অথবা এওয়াই.ফোর.টু ধরনের সংক্রমণও বাড়ছে। সাম্প্রতিক সরকারি জরিপ বলছে, ডেলটা প্লাসে সংক্রমণের হার ৬।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডেলটা প্লাসের বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর না হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিক কিছু তথ্য–প্রমাণে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে ডেলটা ধরনের তুলনায় ডেলটা প্লাসের সংক্রমণ বেশি বাড়তে পারে।
ইউকেএইচএসএ আরও বলছে, সাম্প্রতিক কয়েক মাসে যুক্তরাজ্যে ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বাড়ছে। প্রাথমিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা যায়, ডেলটার তুলনায় ডেলটা প্লাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে পারে। তবে ডেলটা প্লাসের সংক্রমণ খুব ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন না গবেষকেরা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসের কয়েক হাজার ধরন রয়েছে। এ ভাইরাস সব সময় রূপান্তরিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ধরন আসাটা স্বাভাবিক মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
ইউকেএইচএসএর প্রধান নির্বাহী জেনি হ্যারিস বলেন, করোনার সব ধরনের বিরুদ্ধেই এখন পর্যন্ত টিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ নিতে হবে। ভিড়ের মধ্যে গেলে এবং বদ্ধ ঘরে মাস্ক পরতে হবে। উপসর্গ থাকলে পিসিআর পরীক্ষা করা এবং পরীক্ষার ফল নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন হ্যারিস।
চস/স