ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি। হামাসকে উৎখাত এবং জিম্মিদের মুক্তির নামে চালানো এ অভিযানে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে গোটা অঞ্চল।
বাড়ি-ঘর, হাসপাতাল, স্কুল—নিরাপদ কোনো স্থান আর অবশিষ্ট নেই গাজাবাসীর জন্য। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রবেশও। মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই গাজা যেন এক ভয়াবহ নরকে পরিণত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি নতুন প্রস্তাব তোলা হয়। স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ১৫ সদস্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি সব সদস্য দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে, মার্কিন ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি।
এটি গত বছরের নভেম্বরের পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম ভোট। ওই সময়েও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো একটি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর মুখে পড়ে।
নতুন প্রস্তাবটিতে গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর হাতে আটক সব জিম্মির মর্যাদাপূর্ণ ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। একইসঙ্গে, গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে অঞ্চলটিতে ত্রাণ প্রবেশে আরোপিত সব ধরনের বাধা তুলে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ভেটোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা এমন কোনো প্রস্তাবের পক্ষে যাবে না যাতে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার নিন্দা জানানো না হয় কিংবা হামাসকে নিরস্ত্র করে গাজা ত্যাগ করার আহ্বান না থাকে। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া পরিষদের ১০টি দেশের দেয়া প্রস্তাবের প্রতি আগেই বিরোধিতা জানান।
তিনি বলেন, “এই সংঘাত শুরুর পর থেকেই আমরা স্পষ্ট করে বলে আসছি, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।” সূত্র: রয়টার্স
চস/স