ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। তবে ওই পরিকল্পনায় বাধা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে জানান, খামেনিকে হত্যার একটি সুযোগ তাদের সামনে এসেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই পরিকল্পনা আটকে দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা আরও জানান, “ইরান এখনও পর্যন্ত কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেনি। তারা যতক্ষণ না এমন কিছু করছে, ততক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র ইরানের রাজনৈতিক নেতাদের টার্গেট করার পক্ষে নয়।”
এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করলে তিনি ফক্স নিউজকে বলেন, “অনেক ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে।” তবে তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ফলে ইরানের শাসনব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), সিবিএস নিউজ এবং এনবিসি নিউজও ইসরায়েলি পরিকল্পনা এবং ট্রাম্পের বিরোধিতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ভোররাতে ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচালিত এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল, ইরানের সম্ভাব্য ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগাম প্রতিরোধ।
ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের জবাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরানও। আজ চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে এই সংঘাত। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছে। আর ইরানে চালানো পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ জন।
চস/স