spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সর্বশেষ

যুক্তরাষ্ট্র বাদে ইসরায়েলের বিপক্ষে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সকল দেশ

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি দেশ ইসরায়েল বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। গাজায় দুর্ভিক্ষের জন্য সরাসরি তেল আবিবকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীনসহ অন্যরা।

বৈঠকে গাজা উপত্যকার অনাহারের পরিস্থিতি নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ইসরায়েল ও আলজেরিয়ার প্রতিনিধি। কেবল যুক্তরাষ্ট্রই বরাবরের মতো পক্ষ নিয়েছে ইসরায়েলের।

বুধবার (২৭ আগস্ট) গাজার দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তুলে ধরতে অভুক্ত-অপুষ্টিতে ভোগা ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তুলে ধরেন আলেজেরিয়ার প্রতিনিধি। নিজের ১৩ বছর বয়সী ছেলের কাছে লেখা ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত সাংবাদিক মরিয়ম আবু দাগ্গার আবেগঘন চিঠিও পড়ে শোনান তিনি।

যদিও আলজেরিয়ার প্রতিনিধির তথ্য-উপাত্তকে মিথ্যা দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রতিনিধি। বলেন, অপুষ্টি নয়, বরং অন্য কোনো রোগে মৃত্যু হয়েছে ফিলিস্তিনি শিশুদের। পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন বলেন, আমি আপনাকে পরামর্শ দেব, কিছু দেখানোর আগে ঘটনাগুলো যাচাই করে নিন। যে ছবিগুলো দেখিয়েছেন- সেই নামগুলো যাচাই করেছি আমরা। আপনার সাথে আলাদা দেখা করে তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তবে এসব শিশুর সাথে অপুষ্টির কোনো সম্পর্ক নেই।

পাল্টা জবাবে আলজেরিয়ার প্রতিনিধি ওমর বেন্ডজামা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিবেদনেই ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের রিপোর্টে এসব ঘটনার স্পষ্ট উল্লেখও রয়েছে।

এদিনের বৈঠকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ দেশই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে তারা সরাসরি অভিযোগ করেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ মানবসৃষ্ট এবং তা তেল আবিবের তৈরি।

ব্রিটিশ প্রতিনিধি বারবারা ওডওয়ার্ড বলেন, আধুনিক ইতিহাসে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো দুর্ভিক্ষ রেকর্ড করা হয়েছে। পুরোটাই মানবসৃষ্ট। গাজার সীমান্তে খাবারের ট্রাক অপেক্ষা করছে। অথচ শিশুরা অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতোই পক্ষ নিয়েছে বন্ধু ইসরায়েলের। গাজায় দুর্ভিক্ষ ইস্যুতে আইপিসির প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির প্রতিনিধি। মার্কিন প্রতিনিধি ডরোথি শিয়া বলেন, আমরা স্বীকার করি গাজায় ক্ষুধা একটি বাস্তব সমস্যা। উল্লেখযোগ্য মানবিক চাহিদা পূরণ করা আবশ্যক। এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার। তবে, দুর্ভাগ্যবশত IPC’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি সঠিক নয়।

প্রসঙ্গত, ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করায় নেতানিয়াহু প্রশাসনকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি তাদের।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss