spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

টিকটক লাইকি বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট

যুবসমাজ ও তরুণদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিগো লাইভ, টিকটক, লাইকি মোবাইল অ্যাপস নিষিদ্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে এসব অ্যাপস বন্ধে/নিষিদ্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং একইসাথে কেন উক্ত অ্যাপস বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হবে না মর্মেও প্রার্থনা করা হয়।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, আইজি পুলিশকে বিবাদী করা হয়।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

রিটের বিষয়ে আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন বলেন, ‘এসব অ্যাপ তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী করছে। নষ্ট হচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন তারা, হয়ে উঠছেন সহিংস। তরুণ সমাজ এসব অ্যাপের মাধ্যমে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চান এবং নিজেকে জনপ্রিয় ভাবতে শুরু করেন।’

আরও পড়ুন:- আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুতি নেব: প্রধানমন্ত্রী

রিটে বলা হয়েছে, বিগো-লাইভ অ্যাপের মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে লাইভে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়ে এবং যৌনতার ফাঁদে ফেলে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।

এতে বলা হয়, প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক তরুণ। এ অ্যাপটি মূলত একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার অনুসারীদের সঙ্গে লাইভমুহূর্ত শেয়ার করেন। এই অ্যাপের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রতিবেশী দেশ তা নিষিদ্ধ করেছে।

এতে আরো বলা হয়, টিকটক অ্যাপের মাধ্যমে অনেক কিশোর-তরুণ উদ্ভট রঙে চুল রাঙিয়ে এবং ভিনদেশি অপসংস্কৃতি অনুসরণ করে ভিডিও তৈরি করছেন, যাতে সহিংস ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট থাকে। স্বল্পবসনা তরুণীরা টিকটকের অশ্লীল ভিডিওতে নাচ, গান ও অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের ধূমপান ও সিসা গ্রহণ করার ভিত্তিও আপলোড করেছেন।

‘উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এসব ভিডিওতে কোনো শিক্ষণীয় বার্তা নেই। উল্টো এসব ভিডিওর মাধ্যমে তরুণ পজন্মের কাছে ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে। বিব্রতকর, অনৈতিক ও অশ্লীল ভিডিও যা পর্নোগ্রাফিকে উৎসাহিত করায় ইতোমধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ায় এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অ্যাপগুলোর মধ্যে এক ধরনের শো-অফ বিষয় থাকে। এই শর্ট ভিডিও ক্রিয়েশন এবং শেয়ারিং প্লাটফর্মে গিয়ে তরুণ প্রজন্ম অশ্লীল ভিডিও ছড়াচ্ছেন। এসব কাজে সম্পৃক্ত হয়ে একদিকে যেমন তরুণ সমাজ নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের পড়ালেখাও চরম হুমকির মুখে পড়ছে।

এর আগে এ বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আইনজীবী রবিন গত ৮ অক্টোবর জনস্বার্থে একটি নোটিশ প্রেরণ করেন। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিট দায়ের করেন তিনি।

 

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss