spot_img

২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার টাকা করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

মহান মুক্তিযদ্ধে অংশ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘উপহার’ হিসেবে এটিকে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভাতা বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের হারানো সম্মান জাতির কাছে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই ভাতা যখন আমরা চালু করি, তখনকার সময়ের প্রেক্ষিতে আমরা মাসিক ৩০০ টাকায় শুরু করেছিলাম, আজকে তা ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তবে আমি মনে করি, এই সময়ে ১২ হাজার টাকা কিছুই না। আমি ইতিমধ্যে আমাদের কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ডের মিটিং ছিল। এতগুলো ভাগ ভাগ না করে আমি বলেছি, এটা আমার মনে হয় আমাদের মাননীয় মন্ত্রীও ব্যবস্থা নেবেন বা আমরা আমাদের তরফ থেকে নেব। আমরা নিচের যে কয়টা স্লট আছে, সেগুলো এক জায়গায় নিয়ে এসে ২০ হাজার টাকা করেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করব। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সময় লাগবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ বাজেটে সব কিছু ব্যবস্থা করতে একটু সময় লাগবে। তবে এটা আমরা করে দেব।’

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ থাকবে না, তারা কষ্ট করে থাকবে, এটা অন্তত আমি যখন সরকারে আছি, তখন হতে পারে না।’ এসময় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে থেকে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

আরো পড়ুন: একদিনে ১১ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪৪৬

এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, এখন শহীদ পরিবার মাসে ৩০ হাজার টাকা করে, যুদ্ধাহত পরিবার ২৫ হাজার করে, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদের পরিবার ৩৫ হাজার টাকা করে,বীর উত্তম খেতাবধারীরা ৩০ হাজার টাকা করে, বীর বিক্রম খেতাবধারীরা ২০ হাজার টাকা করে এবং বীর প্রতীক খেতাবধারীরা ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা পায়।

এই ভাগগুলো না রাখার পরিকল্পনা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়তো যারা বীরশ্রেষ্ঠ তাদেরটা একটু আলাদা থাকবে বা বীর উত্তম তাদের আলাদা আছে। কিন্তু আমি মনে করি বাকি সবাইকে এক সাথে দেওয়াটা ভালো। কারণ সবাই তো মুক্তিযুদ্ধই করেছে।’

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss