সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবারও বাড়িয়েছেন আদালত। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এই নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ১১৬ বার বাড়ানো হলো।
এদিকে, গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার আরেকটি আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান ও পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মশিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ১২ বছর ধরে অমীমাংসিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে র্যাবের ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ বলেন, দীর্ঘদিনেও তদন্ত শেষ না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। এতে শুধু সাগর রুনির পরিবার নয়, পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটির তদন্ত কাজ র্যাবের কাছ থেকে নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সে হস্তান্তর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এই টাস্কফোর্সকে তদন্ত শেষ করে ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৬ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন। এর আগে, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সরকার ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিলের হাইকোর্টের দেওয়া একটি আদেশ সংশোধনের জন্য একটি আবেদন করে, যেখানে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা থেকে মামলাটি র্যাবকে দেওয়া হয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ নভেম্বর পিবিআই এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয়। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত পিবিআইকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙ্গার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন।
ঘটনার সময় এই দম্পতির পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বাসাতেই ছিল। রুনির ভাই নওশের আলী রোমান পরদিন শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।
চস/স