চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে না দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী।
রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এর মাধ্যমে আমদানি-রফতানির ৯২ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এনসিটি টার্মিনাল বর্তমানে বন্দরের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের উৎস। এই স্বয়ংসম্পূর্ণ টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হলে তা হবে জাতীয় অর্থনীতির ওপর সরাসরি আঘাত।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এনসিটি থেকে গত অর্থবছরে ১৩৬৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বন্দরের মোট হ্যান্ডলিংয়ের ৫৫ শতাংশ হয় এই টার্মিনালে। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত আছেন, যাদের জীবিকার নিরাপত্তা এই টার্মিনালের সঙ্গে জড়িত।
জামায়াত নেতার অভিযোগ করে বলেন, সাবেক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে হস্তান্তরের পেছনে সক্রিয় ছিলেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে, শেখ পরিবারের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে তুলে দেওয়ার মতো চক্রান্তের পুনরাবৃত্তি এনসিটির ক্ষেত্রেও হচ্ছে। অথচ এনসিটি এখনো লাভজনক, প্রযুক্তিনির্ভর ও উন্নত একটি টার্মিনাল। নতুন কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই এটি পরিচালনা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা নয়, বরং সেটি হওয়া উচিত নতুন প্রকল্প ও গ্রীনফিল্ডে- যেমন ইকোনমিক জোন ও বে-টার্মিনাল এলাকায়। নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি ও সফলভাবে পরিচালিত এনসিটি টার্মিনাল কেন বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হবে, সে প্রশ্ন তোলে জামায়াত।
এ সময় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের চুক্তি বাতিল করে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে পরিচালনার দাবি জানান নেতারা। সেই সঙ্গে দেশবিরোধী কোনো চুক্তির বিষয়ে জনগণের সামনে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলনে।
চস/স