spot_img

২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

চট্টগ্রামের সেই ব্রিজ ভাঙার চার কারণ চিহ্নিত

চট্টগ্রাম মহানগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে শীতল ঝরনা খালের ওপর নির্মিত প্রায় অর্ধশত বছরের পুরোনো ব্রিজটি ভেঙে দুই ভাগ হয়ে যাওয়ার চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে চারটি সুপারিশও করেছে তারা।

বুধবার (২৭ আগস্ট) তিন পৃষ্ঠার প্রতিবেদন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে জমা দেয় কমিটি। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- সেতুটি প্রায় ৫০ বছর আগে ইটের ভিত্তি দেয়ালের ওপর নির্মিত হয়। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে খালের প্রস্থ ও গভীরতা বাড়ানো হলেও সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। এতে ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ত, সেতুর পূর্ব পাশের নালার পানি সরাসরি ফাউন্ডেশনে গিয়ে আঘাত হানায় কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তৃতীয়ত, শিল্প এলাকায় ভারী ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যানের চাপ বহন করতে না পেরে সেতুটি নষ্ট হতে থাকে। চতুর্থত, ওয়াসার দুটি বড় পাইপ স্থাপন ও আরসিসি বক্স নির্মাণের কারণেও সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ে।

ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে কমিটি চারটি সুপারিশ করেছে। এগুলো হলো— খালের প্রস্থ বাড়ানো অনুযায়ী পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরোধ দেয়াল ভেঙে পুনর্নির্মাণ, ভারী যান চলাচল অযোগ্য সেতুর তালিকা তৈরি করে নিরাপত্তা সাইনবোর্ড স্থাপন ও প্রয়োজনে ভারী যান নিষিদ্ধকরণ এবং সেবা সংস্থার পাইপলাইন বসানোর সময় সেতু বা কালভার্টের ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করা।

প্রসঙ্গত, নগরের দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন সড়কে চলাচল করার সড়কে শীতল ঝরনা খালের ওপর নির্মিত ব্রিজের একপাশ গত ৭ আগস্ট ভোরে ভারী বর্ষণের সময় ভেঙে যায়। বর্তমানে সেতুর অন্য পাশ দিয়ে সীমিত আকারে যান চলাচল করছে। দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করে চসিক। এতে প্রধান করা হয় সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমানকে। সদস্য হিসেবে ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিফাতুল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান।

দুর্ঘটনার পরপরই সরকারের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী ব্রিজটির নকশা ও বাজেট চূড়ান্ত হয়েছে। প্রায় ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য নতুন সেতুর প্রস্থ হবে ২৩ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss