তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে নিহতের এই সংখ্যা তুলে ধরেছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরী ব্যবস্থাপনা সংস্থার মতে, মৃতের সংখ্যা কয়েক ঘন্টার মধ্যে ৩ হাজারের বেশি বেড়েছে এবং এখন ১২ হাজার ৩৯১-এ দাঁড়িয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৯৯২ জন। যার মধ্যে ১ হাজার ৭৩০ জন উত্তর-পশ্চিমে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায়, সেইসাথে সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত অংশে ১ হাজার ২৬২ জন মারা গেছে।
ত্রাণ সংস্থা এবং উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে। ফলে এই সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পে তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাহরামানমারাস এবং হাতাইসহ কয়েকটি শহর পরিদর্শন করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। এ সময় তিনি এই ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং নতুন বাড়ি তৈরি করার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরদোয়ান স্বীকার করেছেন, ভূমিকম্পের সময় প্রাথমিক উদ্ধার অভিযানে কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জোর দিয়েছেন তিনি। একই সময়ে তিনি তুর্কি জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পে উভয় দেশে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া সংস্থাটির পূর্বাভাসে সতর্ক করে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৬ ফেব্রয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে দেশ দুটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।
চস/স