ভূমিকম্পের ১২২ ঘন্টা পার হলেও তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ২১৮ জন। তবে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র এখনো পরিষ্কার না। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত তুরস্কে ২০ হাজার ৬৬৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৫৫৩টি মরদেহ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
এদিকে ভূমিকম্পের পর প্রায় ১১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ায় পরও এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকাদের জীবিত উদ্ধারের আশা। তারপরও উদ্ধারকারীরা জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভূমিকম্পের চার দিন পর অলৌকিকভাবে বেশ কয়েকজনকে জীবত উদ্ধারও করেছেন তারা। এরমধ্যে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল ১৭ বছরের এক বালিকাকে জীবিত উদ্ধার করেছে।
আন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় এক কোটি মানুষের রান্না করা খাবারের প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা ২২ হাজার নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ।এছাড়াও এই ভূমিকম্পের ফলে দুই দেশের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে, বাসস্থান হারিয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
এই পরিস্থিতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আর্থিক ও মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে। এই তালিকায় যোগ দিয়েছে বংলাদেশও। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ অন্তত ১০০টি দেশ এবং ২০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও ভূমিকম্পের পর ত্রাণ ও পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে বৃহস্পতিবার তুরস্ককে ১.৭৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক।
চস/স