spot_img

২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

টাইগারদের ইনিংস ব্যবধানে জয়

দীর্ঘদিন পর টেস্টে জয়ের সুভাস পেল টাইগার বাহিনী। টানা ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেট যখন সাধারণ দর্শকদের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ঠিক সেই সময়ই নিজেদের সামর্থ্যরে পরিচয় দিতে মাঠে গর্জে উঠলো মুশফিক-মুমিনুলরা।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৫৬০ রানের বিশাল ইনিংসের বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২৬৫ রান এবং চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে করে ১৮৯ রান। এর ফলে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল জয় পায় টাইগাররা।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন মুমিনুল হক। মুশফিক রহিম খেলেন অপরাজিত ২০৩ রানের দ্বিতীয় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। রবিবার দিন শেষে ২৪০ রান করে বাংলাদেশ শিবির। ৪১ রানে তামিম ফিরলেও বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখিয়েও ৭১ রানেই ফিরতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। দিন শেষে ৭৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক। মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৩২ রান করে। সোমবার ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের প্রথম সেশনেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুমিনুল। দ্বিতীয় সেশনে সেঞ্চুরি হয় মুশফিকুর রহিমের।

আরও পড়ুন : মুশফিকের সেঞ্চুরি

দলীয় ৩৯৪ রানের মাথায় মুশফিকের সঙ্গে ২২২ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩২ রান। টেস্টে এটি তার নবম সেঞ্চুরি। মুমিনুলের বিদায়ের পর মিথুনও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ক্রিজে। ফিরে জান মাত্র ১৭ রান করে। মিথুন ফেরার পরে মুশফিকের সঙ্গ দিচ্ছিলেন লিটন দাস। একদিকে মুশফিকুর রহিমের ক্ষিপ্রতা অন্যদিকে লিটন দাসের দৃঢ়তায় এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ৯৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরিটি পূরণ করে উইকেট কিপারে মুষ্ঠিমেয় হন এই ডান হাতি টাইগার ব্যাটসম্যান। লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে নামেন তাইজুল ইসলাম।

গত শনিবার মিরপুরে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২২৮ রান সংগ্রহ করে দিনের খেলা শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে। পরের দিন আবার তারা ব্যাটিংয়ে নামে। ২৬৫ রান করে অলআউট হয় তারা। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ১০৭ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আবু জায়েদ রাহি ৪টি, নাঈম হাসান ৪টি ও তাইজুল ইসলাম ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

জিম্বাবুয়ে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই নাঈম হাসানের তোপের মুখে ২ উইকেট হারিয়ে ৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে সফরকারীরা।

ম্যাচের তৃতীয় দিন আবারো বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে মিরপুরের মাঠে ঠিক সুবিধা করে উঠতে পারেনি সফরকারীরা। অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন ও তিমিসেন মারুমা ছাড়া ৪০ এর কোঠা পার করতে পারেননি কেউই। তৃতীয়দিন থেকে শুরু করে চতুর্থদিনের দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমভাগ পর্যন্ত একে একে সাজঘরে ফেরেন সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানরা। অবশেষে তাদের ইনিংস থেকে যায় ১৮৯ রানের মাথায়।

বাংলাদেশের পক্ষে নাঈম হাসান পান ৫ উইকেট এবং তাইজুল ইসলাম পান ৪ উইকেট।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুশফিক রহিম।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss