spot_img

৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি আজ রাত ১২ টায়

অবশেষে কলঙ্ক মোচনের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। আজ শনিবার মধ্যরাতে (রবিবারের শূন্য প্রহর বা রাত ১২টা ০১ মিনিটে) কার্যকর হতে যাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহীদুজ্জামান।

তিনি বলেন, আজ রাত ১২টা ০১ মিনিটেই বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

 এর আগে এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কে বলেছিলেন, ‘অপেক্ষা করুন, অপেক্ষা করুন, দেখতে পাবেন।’

এদিকে কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগমসহ পাঁচজন স্বজন শেষবারের মতো তার সঙ্গে দেখা করে গেছেন। এরপর তাদের প্রস্তুতিও তারা সম্পন্ন করে রেখেছেন। জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি গ্রুপকে ফাঁসি কার্যকরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। এখন সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সেভাবেই কারা কর্তৃপক্ষ কাজ করবে।

গত বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিন বিকেলেই সেই মৃত্যু পরোয়ানার ফাইল কারাগারে পৌঁছানো হয়। সন্ধ্যায় মাজেদ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাতেই সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন পাঠানো হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিলে সে ফাইল আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কারাগারে পৌঁছানো হয়।

উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ২৫ বছর ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন বলে জানায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। দেশে ফেরার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss