রুদ্ধশাস, উত্তেজনাকর, রোমাঞ্চভরা এক ফাইনালে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ^ শিরোপার মুকুট মাথায় পড়ল ইংল্যান্ড। ক্রিকেট ইতিহাসে এর চেয়ে নাটকীয় ম্যাচ আর নেই। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের করা ২৪১ রানের বিপরীতে ইংল্যান্ডও সংগ্রহ করে সমান সংখ্যক রান। এরপর সুপার ওভারেও দুই দলের সংগ্রহ সমান ১৫ রান। কিন্তু মূল ম্যাচে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোয় গড়ে ফেলে ইতিহাস।
সুপার ওভারে জেসন রয়ের থ্রোতে যখন গাপটিলকে রানআউট করলেন, তখন বাঁধভাঙা আনন্দে শিরোপা উদযাপনে মাঠ মাতিয়ে তুললেন মরগানরা। দর্শকরা তখনও বুঝে উঠতে পারেনি ম্যাচটা সত্যিই ইংল্যান্ড জিতেছে। একা লড়াই চালিয়ে অনবদ্য ৮৪ রান করে দলের জয়ে প্রধান ভূমিকা রাখায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বেন স্টোকস।
ফাইনালে এর চেয়ে জমজমাট ম্যাচ আর হতে পারে না। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিহরণ জাগানো এ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ^কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ইংল্যান্ড। নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে নিজেদের মাঠে ইতিহাস লিখলেন ইয়ান মরগানারা। গ্রাহাম গুচরা যেটা পারেনি সেটাকেই সম্ভব করলেন স্টোকস-বাটলাররা। বিশ^কাপের ফাইনালে নতুন চ্যাম্পিয়ন হল ইংল্যান্ড। গতকাল লর্ডসে অনুষ্ঠিত ফাইনালে কিউদের হারিয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে বিশ^ সিংহাসনের আরোহন করলেন জো রুটরা। ক্রিকেট বিশে^ কাল উদিত হল নতুন এক সূর্য। তিন তিনবার ফাইনালে উঠেও স্বাগতিকরা ব্যর্থতার জ¦ালা মেটালেন শ^াসরুদ্ধকর এক জয় দিয়ে।
নাটকীয় এ ফাইনালের শেষটা ছিল রোমাঞ্চভরা। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ রানের। ম্যাচটা কিউদের পক্ষেই ছিল। জেমস নিশামের করা ওভারে প্রথম দুই বলে ২ রান নিলেও তৃতীয় বলে আউট হয়ে ফিরে যান প্লানকেট। পরের বলে বেন স্টোকসকে প্রায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নিশাম। মিড উইকেটে বোল্ট বল তালুবন্দী করলেও পা লেগে যায় বাউন্ডারিতে। বেঁচে যান স্টোকস, ছয় রান যোগ হল দলীয় সংগ্রহে। ওভারের শেষ বলে আর্চারকের শূন্য রানে ফেরান নিশাম। শেষ ওভারে দলের জয়ে প্রয়োজন ছিল ১৫ রানের। প্রথম দুই বলে কোন রান নেননি স্টোকাস। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের বলে কিউই ফিল্ডারদের মিস ফিল্ডিংয়ে ৬ রান পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। শেষ দুই বলে দুই রান সংগ্রহ করলে সবকটি উইকেট হারিয়ে কিউদের সমান ২৪১ রানেই শেষ হয় ইংল্যান্ড। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা শেষ হয় অমিমাংসিত ভাবে। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আর এতে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করে ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের বোলিংয়ের বিপক্ষে বাটলার ৭ ও স্টোকস ৮ রান সংগ্রহ করেন। জবাবে জোফরা আর্চারের করা ওভারে কিউরাও সংগ্রহ করে সমান ১৫ রান। তখন দেখা হলো, সুপার ওভারে বাউন্ডারি বেশি কাদের। ইংল্যান্ড তাতেই চ্যাম্পিয়ন। কিউইদের চেয়ে একটি বাউন্ডারি যে বেশি তাদের! মুগ্ধ করা ক্রিকেটীয় দক্ষতা, স্নায়ুর সঙ্গে লড়াই কিংবা ইংল্যান্ডের ভাগ্য বা নিউজিল্যান্ডের দুর্ভাগ্য যেটাই হোক, এমন শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল, এমন টান টান উত্তেজনায় ভরা ফাইনাল বিশ্বকাপের ৪৪ বছরের ইতিহাসেই দেখা যায়নি।
লর্ডসের ফাইনালে শুরু থেকেই দাপট দেখালেন ইংল্যান্ড বোলাররা। জোফ্রা আর্চার, প্লানঙ্কেট, ওকসরা শুরু থেকেই চাপ তৈরি করেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের উপরে। সেই চাপ আর সামলে উঠতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করল আট উইকেটে ২৪১ রান। জবাব দিতে নেমে কিউই পেসারে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছিল স্বাগতিকরাও। ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে গেছিল মরগান বাহিনী। কিন্তু নিজেদের মাঠে ব্যর্থতার ইতিহাস আর দির্ঘায়িত না করার সংকল্পে নেমেছিলেন দুই ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস ও জস বাটলার। দুরন্ত জুটি গড়ে বদলে দিলেন ইতিহাস। বাটলার ফিরে গেলেও দলকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেলেন স্টোকস। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সমান ২৪১ রানে অলাউট হয় ইংল্যান্ড। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আর তাতেই শিরোপা যেন হাত ফসকে বের হয়ে যায় কিউদের মুঠো থেকে। লর্ডসে এর আগে চারবার টসজয়ী দল শিরোপ উৎসব করতে পারেনি। কালও সেটা যেন টিকে থাকল।
ফাইনালে পেসারদের দাপট দেখল বিশ^। পেসরারদের গতি বাউন্স আর সুইংয়ে ব্যাটসম্যানরা বারবার অসহায় হয়ে পড়ছিলেন ব্যাট ম্যানরা। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমেও কিউই বোলারদের সামনে অসহায় ছিলেন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। ট্রেন্ট বোল্টের করা ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরতে পারতেন এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কা-ারী জেসন রয়। তবে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি এই বিপজ্জনক ওপেনার। ম্যাট হেনরির বলে টম ল্যাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৭ রান করে। ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে পথ দেখাচ্ছেন জনি বেয়ারস্টো এবং জো রুট। ১১তম ওভারে ফিরতে পারতেন রুট। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম বোলিংয়ে এসে শেষ বলে ফিরতি ক্যাচ মুঠোবন্দী করতে ব্যর্থ হলে এ যাত্রায় বেঁচে যান রুট। তবে জীবন পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি রুট। দলীয় ৫৯ রানে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে উইকেটরক্ষক টম লাথামের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৩০ বলে মাত্র ৭ রান করেন রুট। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু লুক ফার্গুসনের বল ব্যাটে লেগে উইকেট ভেঙে গেলে কপাল পুড়ে বেয়ারস্টোর। ৫৫ বলে ৭টি চারে ৩৬ রানে থামে ইংল্যান্ড এ ওপেনারের ইনিংস। ক্রীজে নেমে থিতু হতে পারেননি দলপতি মরগানও। জেমস নিশামের বাউন্সি বলে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন মরগান। কিন্তু ফার্গুসনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হয় ফিরতে হয় তাকে। ২২ বলে মাত্র ৯ রান করেন মরগান। ৮৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। এরপার স্বাগতিকদের ত্রাতা হয়ে দুরন্ত এক জুটি গড়েন জস বাটলার ও বেন স্টোকস। উইকেটে আকড়ে থেকে ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ৪৪তম ওভারে ১০০ রানের জুটি গড়ার সাথে সাথে নিজেদের ব্যক্তিগত অর্ধশতকও তুলে নেন বাটলার ও স্টোকস। জয় থেকে ৪৬ রান দুরে থাকতে ৫৯ বলে ৬টি চারে ৫৯ রান সংগ্রহ করে ফিরে যান বাটলার। ফার্গুসনের বলে জস বাটলার পরিবর্তিত ফিল্ডার টিম সাউদির তালুবন্দী হলে ভাঙে ১১০ রানে এ দুরন্ত জুটি। বাটলার ফিরলেও দলকে জয় এনে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন স্টোকস। সতীর্থদের যাওয়া আসার মধ্যে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে দলকে নির্ধারিত ৫০ ওভার পর্যন্ত টিকিয়ে রাখেন। ৯৮ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টোকস। শেষ দিকে প্লানকেটের ১০ রানও ইংল্যান্ডকে ম্যাচ টাই করতে সহায়তা করেন। কিউদের পক্ষে ফার্গুসন ও নিশাম ৩টি করে এবং হেনরি ও গ্র্যান্ডহোম ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ম্যাচের সকালের বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় খেলা শুরু হয় ১৫ মিনিট দেরিতে। টসের সময় দুই অধিনায়কই ছিলেন এক পৃষ্ঠায়। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক, কন্ডিশন বোলিং। দুজনের মতেই ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত। একটি নিতেই হতো, উইলিয়ামসন নেন ব্যাটিং। তবে ব্যাট করতে নামার পর শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখে ইংলিশ বোলাররা। শুরুতেই উইকেট পড়তে পারতো ক্রিস ওকসের বলে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তার বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙ্গুগুল তুলেন। হেনরি নিকোলস ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি রিভিউ চেয়ে বসলেন। তাতেই দেখা গেলো বল স্ট্যাম্পের অনেক ওপর দিয়ে চলে যেতো। যে কারণে, ধর্মসেনাকে আউট ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। কিন্তু সপ্তম ওভারে আর বাঁচতে পারল না নিউজিল্যান্ড। নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা মার্টিন গাপটিল ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করছিলেন। তবে ১৮ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ করে গাপটিলই বিদায় নেন আগে। ক্রিস ওকসের সিমে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট করে আসেন একমাত্র রিভিউটি। এরপর ইংলিশ পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপক্ষে কেইন উইলিয়ামসন আর হেনরি নিকোলসের ব্যাটে ভালোই জবাব দিতে শুরু করে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু রান তোলার গতি ছিল কম। তবে, ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন উইলিয়ামসন এবং নিকোলস। দু’জনের ব্যাটে ২১.২ ওভারে ১০০ রানের গ-িও পার হয় কিউইরা। কিন্তু ২৩তম ওভারে লিয়াম প্লাঙ্কেটের দুর্দান্ত এক আউট সুইঙ্গার বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন উইলিয়ামসন। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা প্রথমে আউট দেননি। ইংল্যান্ড নিশ্চিত ছিল ওটা আউট। এ কারণে, তারা রিভিউ নিলো এবং শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গিয়ে বল জমা পড়েছে জস বাটলারের গ্লাভসে। ৭৪ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হলেন নিকোলস আর উইলিয়ামসন। ১০৩ রানে পড়লো কিউইদের দ্বিতীয় উইকেট। ফেরার আগে ৫৩ বলে ২ চারে ৩০ রান করেন উইলিয়ামসন। ফেরার আগে অবশ্য একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেন উইলিয়ামসন। একটি বিশ্বকাপে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী অধিনায়ক হলেন তিনি। তিনি ছাপিয়ে গেলেন প্রাক্তন শ্রীলংকা অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেকে। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে জয়বর্ধনে ৫৪৮ রান করেছিলেন। এতদিন এটাই ছিল একটি বিশ্বকাপে কোনও অধিনায়কের করা সবচেয়ে বেশি রান। ফাইনালের আগেই ৫৪৮ রান করে ফেলেছিলেন কেইন। গতকাল প্রথম রান করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি জয়াবর্ধনেকে ছাপিয়ে যান। এদিকে কিউই দলপতি ফেরার পরই বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখাতে শুরু করেন ইংল্যান্ড বোলার লিয়াম প্লাঙ্কেট। এটা তার শেষ বিশ্বকাপ। ৩৫ বছরে পা রাখা এই বোলার যেন পণ করেই নেমেছেন, লর্ডসের ফাইনালকে স্মরণীয় করে রাখবেন। সে লক্ষ্যেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুই ডেলিভারিতে নিউজিল্যান্ডের সেট দুই ব্যাটসম্যানকে দেখিয়ে দিয়েছেন সাজঘরের পথ। প্রথমে কেন উইলিয়ামসন এবং পরে তিনি ফিরিয়ে দেন হেনরি নিকোলসকে। উইলিয়ামসন ফিরে গেলেও ব্যাট হাতে দারুণ স্থিরতার পরিচয় দিচ্ছিলেন হেনরি নিকোলস। শুধু তাই নয়, ধীরস্থির ব্যাটিং করে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন। ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার। কিন্তু ২৭তম ওভারের পঞ্চম বলে প্লাঙ্কেটের লেন্থ বল কভার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন নিকোলস। কিন্তু বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে গিয়ে চলে যায় স্ট্যাম্পে। বোল্ড। ৭৭ বলে ৪টি চারে ৫৫ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান হেনরি নিকোলস। ১১৮ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর রস টেইলের আস্থা ছিল কিউইদের। ১৪১ রানের মাথায় রস টেলরকে হারিয়ে বেশ বিপদে পড়ে য়ায় নিউজিল্যান্ড। মার্ক উডের বলে ১৫ রান করে লেগ বিফোর হয়ে সাজঘেরে ফিরে যান রস টেলর। টেলর আউট হওয়ার পর জুটি বাধেন টম ল্যাথাম আর জিমি নিশাম। এ দু’জন চেষ্টা করেন বিপর্যয় কাটিয়ে দলের রানকেও সমৃদ্ধ করার। কিন্তু ৩২ রানের জুটি গড়ার পর টিকতে পারেননি তারা। দলীয় ১৭৩ রানের মাথায় লিয়াম প্লাঙ্কেটের দারুণ এক ডেলিভারিতে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৫ বলে ৩টি চারে ১৯ রান করে ফিরে যান নিশাম। এরপর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম চেষ্টা করেন টম ল্যাথামের সঙ্গে জুটি বাধার। কিন্তু ২৮ বলে ১৬ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকেও। ক্রিস ওকসের বলে পরিবর্তিত ফিল্ডার জেমস ভিন্সের তালুবন্দী হয়ে ফেরেন তিনি। টম ল্যাথামের সামনে সুযোগ ছিল হাফ সেঞ্চুরি করার। কিন্তু ক্রিস ওকসের একটি ফুলটস বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আবারো জেমস ভিন্সের হাতে। পরের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি। মিচেল স্যাটনার ছিলেন ৫ রানে অপরাজিত। ৪ রান করে ফিরে যান ম্যাট হেনরি। ১ রানে অপরাজিত থাকেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে লিয়াম প্লাঙ্কেট তুলে নেন ৩ উইকেট। ৯ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ক্রিস ওকস। জোফরা আর্চার আর মার্ক উড নেন ১টি করে উইকেট।