spot_img

২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

রেনুকে ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করা রিয়া গ্রেপ্তার

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গুজব ছড়িয়ে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হৃদয় এবং রিয়া খাতুনকে মুখোমুখি করা হয়েছে। হাজতে রিয়া খাতুনকে দেখেই ঘাতক হৃদয় চিৎকার করে ওঠেন। রিয়ার দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, ইনি প্রথম ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর আমি লাঠি নিয়ে এগিয়ে যাই। ধীরে ধীরে সেখানে কয়েকশ’ লোক হাজির হতে  থাকে। গ্রেপ্তারের পর রিয়া খাতুন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করতে থাকলেও হৃদয়কে মুখোমুখি করা হলে তিনি চুপসে যান। হৃদয় তাকে অভিযুক্ত করে সেদিনের ঘটনা ফাঁস করতে থাকলে রিয়া খাতুনের আর কিছুই বলার থাকে না। মাথা নিচু করে থাকেন। এক সময় ঘটনার দায় স্বীকার করে নেন তিনি।

বাড্ডা থানা পুলিশ জানায়, হৃদয় এবং রিয়া খাতুন দুজনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন পুলিশের কাছে। তাদের গতকালই আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আদালতে দুজনই ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া এ মামলায় প্রধান আসামি হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমকে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে গ্রেপ্তার রিয়া খাতুন ও হৃদয়কে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক। ওই সময় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন জবানবন্দি নেন। পরে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। ২৩ জুলাই (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় হৃদয় তার ছোট খালা বেগম খালেদার বাসায় ছিল। এরপর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। রিমান্ডের সময়সীমা শেষ জহওয়ার আগেই শুক্রবার আদালতে হাজির করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ২০ জুলাই (শনিবার) সকালে ঢাকার উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাসলিমা  বেগম রেনুকে (৪০) ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। দুই ছেলেমেয়েকে ভর্তির জন্য  সেখানে খোঁজ নিতে গিয়ে গুজবের কবলে পড়ে গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়। পরের দিন রবিবার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উল্টর সোনাপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানের বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বোনের  ছেলে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss