ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নং ওয়ার্ডের সাময়িক বরখাস্ত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। ইরফানের বিরুদ্ধে দুটি ও জাহিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাগুলো করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে মামলাগুলো করা হয়েছে। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার অবৈধভাবে রাখা বিপুল সংখ্যক ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ পাওয়া যাওয়ায় ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের অভিযানের সময় ইরফানের বাসায় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও মদ জব্দ করা হয়।
রোববার রাতে ধানমণ্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে ইরফান ও তার সহযোগীরা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন। এ ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন: ৩ দিনের রিমান্ডে ইরফান ও তার বডিগার্ড
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর নীলক্ষেত থেকে কিছু বই কিনে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নিজেদের মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। পথে ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতারের কাছে একটি প্রাইভেটকার তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরবর্তীতে প্রাইভেটকার থেকে কয়েকজন বেরিয়ে এসে ওয়াসিফকে মারধর ও তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকেন।
চস/স