প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নৌবাহিনীকে সম্পূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি। নৌবাহিনীতে অ্যাভিয়েশন সিস্টেম থেকে শুরু করে সবকিছু করে দিয়েছি।
বুধবার নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান-২০১৮ আলফা এবং ডিইও-২০২০ ব্রাভো ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সব সময় লক্ষ্য- আমাদের স্বাধীন দেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। আমরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেব। কিন্তু কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়।’
‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই পররাষ্ট্র নীতি নিয়েই আমরা চলব। আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যাতে সব ধরনের উদ্যোগ, প্রশিক্ষণ থাকে, সেভাবেই প্রতিটি বাহিনীকে গড়ে তুলছি’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমার সম্পদ যাতে আমরা আমাদের দেশের উন্নয়নকাজে ব্যবহার করতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এ সময় নবীন অফিসারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে যারা নবীন অফিসার, তারা কমিশন পেয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করবেন। আপনারা ২০৪১ সালে আরও উন্নত হবেন… ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হবেন। দেশকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবেন।’
করোনা মহামারীর কারণে মুজিববর্ষের কর্মসূচি সীমিত আকারে পালন করার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘২০২১ সাল আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচিও পালন করবো সীমিতভাবে- ভার্চুয়ালি এবং যেখানে বেশি জনসমাগম হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। সেই সঙ্গে নির্দেশনা দিয়েছি স্বাস্থ্য সুরক্ষার। আশা করছি, সবাই সচেতন থাকবে, যাতে করোনাভাইরাসে খুব বেশি আক্রান্ত না হয়, এটি ছড়িয়ে না পড়ে।’
চস/এএম