কুমিল্লায় ধর্মীয় আবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইকবালসহ চারজনের সাত দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মিথিলা জাহান মিতা এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ। ইকবাল ছাড়া অন্য তিন আসামি হলেন- দারোগাবাড়ি মাজারের সহকারী খাদেম হুমায়ুন কবির ও ফয়সাল আহমেদ এবং ঘটনার দিন ৯৯৯-এ কল করা ইকরাম হোসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জানান, দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়। এসময় পুলিশ অভিযুক্ত চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন। গতকাল তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেওয়ার কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন ইকবাল। তবে কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনও জানাননি।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর নানুয়ারদীঘির পাড়ের একটি অস্থায়ী মণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত-বাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
চস/স