বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ১৭০ জনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
বুধবার (২ অক্টোবর) কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, আরও বেশ কয়েকজন নজরদারিতে আছেন। এছাড়া হামলার ঘটনায় ৩৯ জন নির্দেশদাতা নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে ২১৯টি অস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত একটি মুদি দোকানের ভেতর থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মূল সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এই হত্যার ব্যাপারে কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, আর্থিক লেনদেনের দ্বন্দ্বের জেরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। রফিকুলকে হত্যার ঘটনা দেখে ফেলায় কর্মচারী সাব্বিরকেও হত্যা করা হয়। কিছু লোকের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। পরে তারা রুমনকে সঙ্গে নিয়ে হত্যা পরিকল্পনা করে। জড়িত বাকি দুই জনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
আসছে ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সর্বজনীন এই আনন্দোৎসবে ইতিমধ্যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। দুর্গোৎসব প্রসঙ্গে এই র্যাব কর্মকর্তা জানান, দুর্গাপূজাকে ঘিরে উসকানি রয়েছে। তবে বিশৃঙ্খলা রোধ করতে মাঠে তৎপর থাকবে র্যাব। সকাল ও বিকেলে থাকবে বিশেষ টহল।
চস/স