spot_img

২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

দেশে করোনায় আরো ১৩ জনের মৃত্যু

মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি। এর আগে ১৭ এপ্রিল তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯৯ জনে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন করে মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ছয়জন রাজধানী ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দা, তিনজন মহানগরের বাইরে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জায়গার এবং চারজন চট্টগ্রাম বিভাগের। তাদের আটজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী।

আরো পড়ুন: দেশে একদিনে আরো ৭০৬ জনের করোনা শনাক্ত

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সসীমার চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন এবং ১১ থেকে ২০ বছর একজন। এদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল।

এর আগে আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা গেল ২৪ ঘণ্টার করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেন। তিনি জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৭০৬ জন। ফলে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২ হাজার ৪২৫। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১৩০ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯১০ জন।

তিনি জানান, নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৩৮২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়, এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা লাখ ছাড়িয়ে গেল। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫১৩টি। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৭০৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪২৫।

এতদিন পর্যন্ত দেশের ৩৩টি ল্যাবে করোনার পরীক্ষা হলেও ল্যাবের সংখ্যা আরেকটি বেড়েছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র। দেশের এই ক্রান্তিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে আসায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান নাসিমা সুলতানা।

গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি। বাংলাদেশে গত ২ মে পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১৭৭ জন। এরপর সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যায় কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ‘নীতিমালা’ বদলে ফেলায় ৩ মে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৩ জন। এর পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা, যা আজ পর্যন্ত সারা দেশে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছেন এক হাজার ৯১০ জন।

গেল বছর ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারী ভাইরাসটিতে দেশে প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত হয় গেল ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে পঞ্চাশ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।

টানা দুইদিন রেকর্ড সংখ্যক করোনা শনাক্ত হওয়ার পর আজ কিছুটা কমেছে। এর আগে গত ৫ ও ৬ মে যথাক্রমে ৭৮৬ ও ৭৯০ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা দেশে করোনা শনাক্তের পরপর রেকর্ড। এরই মধ্যে সাধারণ ছুটির শর্ত শিথিল করতে শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়েছে শিল্প-কারখানা। আগামী রোববার থেকে শপিং মল খুলে দেয়ারও সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে রাস্তাঘাট, হাট-বাজারে ভিড় বাড়তে দেখা গেছে।

চস/সোহাগ

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss