কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ধর্ষণ করে তা আবার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দে্ওয়ার অভিযোগে উঠেছে। এ অভিযোগে সিয়ামুর ররহমান খোকন নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৮ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা খোকন ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন। এরপর ওইদিন বিকেলে ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজ পাড়া এলাকা থেকে খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের পাথরডুবি গ্রামে।
জানা গেছে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী নানা বাড়িতে থেকে পড়া লেখা করে। মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় খোকন তাকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতেন। গত বছরের ২২ অক্টোবর বিকেল ৪টায় স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার সময় খোকন ও তার সহযোগী নাজমুল হাসান রনী ওই ছাত্রীর পথরোধ করে। পরে তাকে ভয় দেখিয়ে বাবলু মিয়া নামে এক ব্যক্তির বাড়ির ভেতরে নিয়ে যায়। এসময় রনি ও বাবলু তাদের কথামত কাজ করার হুমকি দিয়ে তাকে ও খোকনকে একটি ঘরে রেখে তারা বাড়ির বাইরে পাহাড়া দেয়। এক পর্যায়ে খোকন তাকে ধর্ষণ করে। এসময় সিয়ামের সহযোগী রনি জানালার ফাঁক দিয়ে গোপনে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং ওিই ছাত্রীকে ঘটনাটি প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ঘটনার পরও খোকন বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে হুমকি দেয়। এতেও রাজি না হলে ভিডিওটি কম্পিউটারের দোকানে ছেড়ে দেয় খোকন। পরবর্তীতে মেয়েটির আত্মীয়স্বজন ভিডিও‘র বিষয়টি জানতে পারে। পরে ওই ছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কিছু ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে তাকে কুড়িগ্রাম কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।
চস/আজহার