খুলনা মহানগরীর উত্তর হরিণটানা এলাকায় ১৪ বছর বয়সী কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে তার পিতাকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ আটকের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত কিশোরীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কানাইলাল সরকার এ ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিত কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা ও ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত কিশোরীর পিতা-মাতাসহ মহানগরীর রিয়া বাজার এলাকায় বসবাস করতেন। সেখান থেকে মেয়ের মা বছর দুয়েক আগে স্বামী সংসার ফেলে চলে যায়। মা চলে যাওয়ার পর পিতাও দুই ছেলে-দুই মেয়েকে ফেলে অন্যত্র চলে যান। পরে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে যান তাদের নানী। গত দুতিন মাস ধরে মেয়েটির পিতা-মাতা আবার একত্রে বসবাস শুরু করেন। ওদের নানার বাড়ির পাশেই বাসা ভাড়া নিয়ে সবাই মিলে বসবাস করছিলো। সেখান থেকে মেয়ের মা আবার চলে যায়। তারপর নির্যাতিত কিশোরী অপর তিন ভাই-বোন ও পিতার সাথে ওই ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। এমন পরিস্থিতিতে কিছুদিন ধরে ওই কিশোরী কন্যার সাথে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে পিতা।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার নির্যাতিত কিশোরী তার নানীর কাছে বিষয়টি জানায়। এক পর্যায়ে জানাজানি হলে লোকজনের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ এসে ওই পিতাকে আটক করে।
এঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাড. মোমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নির্যাতিত কিশোরীকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়া হবে। একই সাথে পুলিশের পাশাপাশি আমরা প্যারালাল তদন্ত করবো। ভিকটিমের পাশে দাঁড়াবো। মানসিক সাহসের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাউন্সেলিংসহ যাবতীয় সহযোগিতা করবো।’
চস/আজহার