spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডেস্ক রিপোর্ট

সর্বশেষ

ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিলে নির্বাচন হওয়া উচিত : ডা. শফিকুর রহমান

ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিলে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও মহানগরী আমির সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা দুটি সময়কে উপযুক্ত মনে করি। একটি ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে। তবে যদি এ সময়ের মধ্যে সংস্কারগুলো এবং বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনমনে আস্থা সৃষ্টির পর্যায়ে না আসে তাহলে সর্বোচ্চ এপ্রিল পার হওয়া উচিত না। এখানে আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং পারিপার্শ্বিকতার বিষয় আছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ এবং মার্চ মাসের তিন ভাগের দুই ভাগ রোজা থাকবে। সে সময়ে নির্বাচন সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, সংস্কার কার্যক্রম যেটা হাতে নেওয়া হয়েছে তা যদি আক্ষরিকভাবেই গতিশীল করা হয় এবং অংশীজনরা সেরকম সহযোগিতা করেন তাহলে সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচন সম্ভব। ফ্যাসিবাদের পতন হলো নাকি ফ্যাসিবাদীদের পতন হলো তা নিয়েও আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে। আমাদের দুঃখের ইতিহাসে জাতি হিসেবে আমরা এখনো ইতি টানতে পারিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ২০১১ সালের এপ্রিল মাসের পর এমন একটি সম্মেলন একত্রে বসে করার সুযোগ পাইনি। ২০০৯ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তাদের সঙ্গীরা দেশকে শাসন এবং শোষন করেছে। তারা এ দেশের বিরোধী দল-মত বিশেষ করে ইসলামপন্থিদের ওপর বিভিন্নভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে। কমপক্ষে তিনটি গণহত্যা তারা চালিয়েছে। প্রথমটি তৎকালীন বিডিয়ারদের হেডকোয়ার্টারে পিলখানায় ৫৭ জন চৌকস দেশপ্রেমিক সেনাদের হত্যা করে। এরপরের হত্যা হয়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে। হেফাজতের আহ্বানে সমাবেশে রাতের বেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ঘুটঘুটে অন্ধকারে মানুষগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। আরেকটি গণহত্যা ২০২৪ এর জুলাই মাসের অর্ধেক ও আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত। এতে শহীদ হয়েছে অনেকে, পঙ্গু হয়ে আছে অনেকজন।

জামায়াত আমির বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। আমরা আমদের দলীয় সহকর্মীদের অনুরোধ করেছিলাম, সবাই যেন ধৈর্য ধরে, শান্ত থাকে। এর পাশাপাশি আমরা সাধারণ মানুষকেও আহ্বান জানিয়েছি। অন্যান্য দলও সেই আহ্বান জানিয়েছে। অন্যান্য দেশে এ সময়ে যা ঘটেছে তার তুলনায় তেমন কিছুই ঘটেনি। যা ঘটেছে তাও আমরা সমর্থন করি না। সেদিনই আমরা বলেছিলাম, আমরা আইন হাতে তুলে নেবো না। প্রতিকার চাইতে হবে আইনি প্রক্রিয়ায়।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss