spot_img

২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

মেসি-নেইমার-এমবাপের টর্নেডোতে উড়ে গেল ম্যাকাবি

নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা আক্রমণভাগের নাম এমএনএম (মেসি-নেইমার-এমবাপে)। এ কথা চোখ বন্ধ করে যে কেউ স্বীকার করে নেবেন; কিন্তু তিন সেরা ফুটবলারের একসঙ্গে একইতালে জ্বলে ওঠা হয় খুবই কম। যেদিন জ্বলে ওঠেন, সেদিন প্রতিপক্ষের অবস্থা যে কী হবে, তা কল্পনাতেই আনা সম্ভব হয় না।

মঙ্গলবার রাতে সেই অবস্থা হয়েছে ইসরায়েলি ক্লাব ম্যাকাবি হাইফা’র। রীতিমত টর্নেডোর মুখোমুখি হয়েছে তারা। মুহুর্মুহু আক্রমণে রীতিমত ম্যাকাবিকে বিধ্বস্ত করে ছেড়েছে মেসি, নেইমার এবং এমবাপেদের পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই তিন তারকার একসঙ্গে জ্বলে ওঠার দিনে ম্যাকাবিকে ৭-২ গোলে পরাজিত করেছে ফরাসি ক্লাবটি।

জোড়া গোল করেছেন মেসি এবং এমবাপে। এক গোল করেছেন নেইমার। একটি হলো আত্মঘাতি। পিএসজির অন্য গোলটি এসেছে কার্লোস সোলারের পা থেকে। ম্যাকাবির হয়ে গোল দুটি করেছেন আবদুলায়ে সেক।

আগের ম্যাচেই ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ম্যাকাবি হাইফা। পার্ক ডি প্রিন্সেসে সেই ক্লাবটিকেই সামনে পেয়ে একের পর এক গোল দিয়ে গেলো বার্সেলোনা। ম্যাকাবি হাইফার মাঠে গিয়েও গোল করেছিলেন মেসি-নেইমার এবং এমবা

শুরু থেকেই ম্যাকাবির গোলমুখে মুহুর্মুহু আক্রমণ শুরু করে পিএসজি এবং প্রথম ৩৫ মিনিটের মধ্যেই সেরা তিন তারকা মেসি, এমবাপে এবং নেইমার ১টি করে গোল আদায় করে নেন। মেসি এবং এমবাপে আরও একটি করে গোল যোগ করেন। শুধু তাই নয়, নেইমার এবং সোলারের গোলে অ্যাসিস্টও করেন তিনি। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে মেসি করলেন ১১ গোল এবং ১২টি অ্যাসিস্ট।

১৯ মিনিটে গোলের সূচনা করেন লিওনেল মেসি। কিলিয়ান এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়ে বাম পাশ থেকে বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত শটে হাইফার জালে বল জড়ান মেসি। ৩২ মিনিটে গোল করেন এমবাপে। বক্সের ডান পাশ থেকে ডান পায়ের শট নেন তিনি। সেটিই জড়িয়ে যায় ইসরায়েলি ক্লাবটির জালে।

তিন মিনিট পর, খেলার ৩৫তম মিনিটে গোল করেন নেইমার। এবার তার গোলের জোগানদাতা লিওনেল মেসি। ৪৪ মিনিটে মেসির গোলটি ছিল ট্রেডমার্ক। কিলিয়ান এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়েই চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স দেখিয়ে গোল করেন মেসি।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওযার কিছুক্ষণ পর আবারও এমবাপে গোল করেন। ৬৪ মিনিটের ওই গোলটিতে অ্যাসিন্ট ছিল আশরাফ হাকিমির। বাম পাশ থেকে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন তিনি। ৬৭ মিনিটে আত্মঘাতি গোল করে বসেন হাইফার সিন গোল্ডবার্গ। ৮৪ মিনিটে মেসির পাস থেকে গোল করে হাইফার পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন কার্লোস সোলার।

ম্যাকাবি হাইফাও দুটি গোল শোধ করেছে। ৩৮ মিনিটে প্রথম গোল করেন আবদুলায়ে সেক। ৫০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটিও করেন তিনি।

ম্যাচের পর পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফার গ্যালটিয়ের বলেন, ‘আমি দেখলাম, খেলোয়াড়রা দারুণভাবে ম্যাচটা উপভোগ করছে। এটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি ভাবতেই পারছি না, আমাদের সেরা তিন খেলোয়াড় যখন এসঙ্গে জ্বলে ওঠেন, তখন কী অবস্থা হয়! তারা নিজেদের সেরাটা তুলে ধরেছে এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss