spot_img

২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

অলিম্পিকে রাশিয়ার পতাকা থাকছে না

আগামী বছর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অলিম্পিক ইভেন্টে রাশিয়ার পতাকা থাকা বা না থাকা নিয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

তিনি বলেন, প্যারিস অলিম্পিক গেমসে রাশিয়ার পতাকা থাকতে পারে না। বিশেষ করে এমন সময়ে যখন রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মূলত টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। এছাড়া ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের জেরে যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু পশ্চিমা দেশ রাশিয়াকে বয়কট করেছে। আর এর ছাপ পড়েছে অলিম্পিকের মতো খেলাধুলার ইভেন্টেও।

এএফপি বলছে, প্যারিস অলিম্পিকে রাশিয়ান ক্রীড়াবিদদের নিরপেক্ষ প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও তাদের সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ম্যাক্রোঁ বলেন, আমি মনে করি এটি অলিম্পিক বিশ্বের বিবেকের সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত তা আয়োজক রাষ্ট্র ঠিক করে দেবে না।টমাস বাখের (আইওসি সভাপতি) ওপর তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা আছে বলেও জানান তিনি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদরা অনেক ক্রীড়া ইভেন্টে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে চলমান যুদ্ধ সত্ত্বেও রাশিয়া এবং মস্কোর মিত্র বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের নাম ছাড়া কেবল নিরপেক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে আইওসি।

এএফপি বলছে, (রাশিয়া থেকে) বৈশ্বিক খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার অনুমতিপ্রাপ্তদের অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে নিরপেক্ষ পতাকার অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং তারা ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেনি, এটা প্রমাণ করার মতো বিষয়ও রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ফরাসি ক্রীড়া দৈনিক এল’ইকুইপের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘অবশ্যই, প্যারিস গেমসে রাশিয়ান পতাকা থাকতে পারে না। আমি মনে করি, এই বিষয়ে ঐকমত্য আছে। (অলিম্পিকের মঞ্চে) একটি দেশ হিসেবে রাশিয়ার জন্য কোনও স্থান নেই। বিশেষত এই দেশটি যখন যুদ্ধাপরাধ করেছে, (ইউক্রেন থেকে) শিশুদের বিতাড়িত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন যে প্রশ্নে অলিম্পিক বিশ্বকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তা হলো- (এই ধরনের ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য) কখনও কখনও সারাজীবনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এই রাশিয়ান ক্রীড়াবিদদের কিভাবে জায়গা দেওয়া হবে। এমনকি এই ক্রীড়াবিদদের অনেকে (রাশিয়ায়) সরকারি নিপীড়নের শিকারও হয়ে থাকতে পারেন।’

মূলত রাশিয়ায় যারা পুতিনের শাসনের সহযোগী এবং যারা দুঃশাসনের শিকার, তাদেরকে কীভাবে আলাদা করা যায় সেটিই চিন্তা করছেন ম্যাক্রোঁ। ফরাসি এই প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ‘এটাই আসল প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, আইওসিকে অবশ্যই এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা ইউক্রেনীয়দের কাছে ন্যায্য হবে। আর এই ভারসাম্যমূলক কাজটি আমাদেরই করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েকদিন পরে সেই হামলা শুরু হয়েছিল। হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বেশ দ্রুত রাশিয়া এবং তার প্রতিবেশী বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss