spot_img

২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

চোর ধরা পড়ল জুতার দাগ থেকে

গত ২০ ফেব্রুয়ারি চুরির ঘটনা ঘটে জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজের ফ্ল্যাটে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পাশের খালি ফ্ল্যাটে জমে থাকা ধুলার স্তরে তৈরি হওয়া জুতার ছাপকে সূত্র ধরে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চোরের পরিচয়। আর চোর দূরের কেউ নয়, ওই বাড়ির থাই গ্লাস সহকারী সোহেল রানা। যোগসাজশ রয়েছে বাড়ির দারোয়ানেরও।

জানা গেছে, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দেখতে পান পাশের ফ্ল্যাটটি খালি পড়ে আছে। আর সেখানে টাইলসের ওপর জমে থাকা ধুলার স্তরে জুতার দাগ। তিনি মোবাইল ফোনে সেই দাগের ছবি তোলেন।

সেই ছবি পরীক্ষা করে তিনি দেখতে পান জুতার তলায় ‘এআর-৭’ লেখা রয়েছে। এরপর তিনি মার্কেটে গিয়ে খোঁজ করে জানতে পারেন কোন কম্পানির স্যান্ডেলের নিচে এমন নম্বর থাকে।

তদন্ত কর্মকর্তা শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলেন যে এই চুরির সঙ্গে পরিচিত কেউ না কেউ জড়িত রয়েছে। ওই জুতার দাগকে সূত্র ধরে তিনি সাদা পোশাকে ওই বাড়ির আশপাশে তিন দিন নজর রাখেন। গত ৪ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি দেখতে পান যে বাড়ির থাই গ্লাস সহকারী সোহেল রানার পায়ে ওই রকম জুতা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে চুরির রহস্য।

পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাশে নির্মাণাধীন একটি বাড়ির বাথরুমের ওপরে থাকা স্টোর এবং তার পল্লবীর বাসা থেকে ১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, হীরা ও ইমিটেশনের গহনা উদ্ধার করা হয়।

সোহেল রানা জানায়, সে জানত না ফ্ল্যাটটি ক্রিকেটার মিরাজের। সে বাড়ির থাই গ্লাসের কাজ করে। সে তিন বছর ধরে এই ভবনে ১১ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছে। জানালার গ্রিলের নাট খুলে ফ্ল্যাটের ভেতরে প্রবেশ করে সোহেল রানা। ভেতরে গিয়ে দেয়ালে টাঙানো ছবি দেখে সে বুঝতে পারে যে এটি ক্রিকেটার মিরাজের বাসা।

আরো পড়ুন: একটি সফলতা বা অসফলতার গল্প!

পরে সে লাইট জ্বালায় এবং গরম লাগার কারণে ফ্যানও চালু করে। দুই ঘণ্টা বাসায় থেকে সে আলমারির ড্রয়ার ভাঙে। বিভিন্ন জায়গায় টাকা ও স্বর্ণালংকারের সন্ধান করে। পরে যা পায় তা নিয়ে বেরিয়ে যায়। তবে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফ্যান ও লাইট বন্ধ করতে ভুলে যায়।

পুলিশ জানায়, বিজয় রাকিন সিটিতে ১১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার মধ্যে ২০-২২টি ফ্ল্যাটে লোকজন উঠেছে। বাকিগুলো এখনো ফাঁকা। এ ঘটনার সঙ্গে বাড়ির দারোয়ান জামাল উদ্দিনও জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করেছে সোহেল রানা। পলাতক জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এসআই এমদাদুল হক জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর সোহেল রানাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

চস/সুজন

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss