বেনি হাওয়েলের ঝোড়ো ফিফটিতে বড় সংগ্রহ গড়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। সেই রান তাড়ায় লিটন দাসের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে ইনিংসে মাঝের ওভারগুলোতে লাগাম টেনে ধরে সিলেট। জনসন চার্লস-মঈন আলিরা ব্যর্থ হলে প্রয়োজনীয় রান আর বলের মধ্যে ব্যবধান বাড়ে। লিটন দাস-আন্দ্রে রাসেল চেষ্টা করেছেন, তবে সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি।
আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করেছিল সিলেট। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি কুমিল্লা।
শেষ ৫ ওভারে দরকার ৬১ রান। হাতে ৮ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করা লিটন দাস আর ক্যারিবীয় ব্যাটার জনসন চার্লস। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লাইনআপে এরপর ছিলেন মঈন আলি, আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিনের মতো ব্যাটার।
তাই অসম্ভব মনে হচ্ছিল না শেষদিকে বড় টার্গেটও। কিন্তু আগেই বিদায় হয়ে যাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আর পারলো না কুমিল্লা। হেরে গেলো ১২ রানে। ১১ ম্যাচে এটি সিলেটের চতুর্থ জয়। আগের ম্যাচটি জিতলেই তাদের সম্ভাবনা টিকে থাকতো।
শেষ ওভারে কুমিল্লার দরকার ছিল ২৫। আন্দ্রে রাসেল আর লিটন দাস ক্রিজে থাকায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন কুমিল্লার সমর্থকরা। কিন্তু তানজিম হাসান সাকিব প্রথম বলেই উপড়ে ফেলেন লিটনের স্টাম্প। ৫৮ বলে লিটনের ৮৫ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার আর ৩টি বাউন্ডারির মার। সাকিব নিজের শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে তুলে নেন আন্দ্রে রাসেলের উইকেটও।
চস/আজহার