spot_img

২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার
১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

চ্যাটজিপিটি বর্তমান বিশ্বকে বদলে দেবে: বিল গেটস

হাল আমলের জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির পুরো নাম- ‘জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার’। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বরে বিশ্বের প্রথম সারির মার্কিন গবেষণা ল্যাবরেটরি ‘ওপেনএআই’ এই চ্যাটবট বাজারে আনে।

চ্যাটজিপিটি দিয়ে মুহুর্তে বের করে ফেলা যায় কোনো ঘটনার ব্যাখ্যা। এর সাহায্যে অনেক কাজই মানুষ এখন সহজে করিয়ে নিতে পারছে।

সারা বিশ্বেই এখন চ্যাটজিপিটি নিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শুধু জানুয়ারি মাসেই বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে। এটি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন একটি অ্যাপলিকেশন যাকে বলা হয় ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল টুলস’।

এবার চ্যাটজিপিটি সম্পর্কে মুখ খুললেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তিনি বলেছেন, বিশ্বকে বদলে দেবে চ্যাটজিপিটি। শুক্রবার (১০ ফেব্রয়ারি) জার্মান সংবাদমাধ্যম হ্যান্ডেলসব্লাটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

কনটেন্ট রাইটিং এবং প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট ডিজাইন, ডেটা এ্যানালাইসিসসহ প্রায় প্রতিটি ডিজিটাল ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলেছে চ্যাটজিপিটি।

এই চ্যাটবট যেকোনো বিষয়ে লিখতে, উত্তর দিতে, কথোপকথন চালাতে, জটিল বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে, সাবলীল অনুবাদ করতে পারে। যেকোনো ভুল ধরিয়ে দিতে পারে এটি। তবে অন্য সার্চ ইঞ্জিনের মতো চ্যাটজিপিটি এখনো লাইভ বা সরাসরি ইন্টারনেটে কাজ করে না। ইন্টারনেটে ২০২১ সাল পর্যন্ত যেসব তথ্য রয়েছে, শুধু সেগুলোই তার তথ্যভাণ্ডারে রয়েছে।

এর সম্পর্কে বিল গেটস আরও বলেন, আগের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাগুলো সব বিষয়ে লিখতে ও পড়তে পারতো। কিন্তু বিষয়বস্তু বুঝতো না। কিন্তু চ্যাটজিপিটির মতো নতুন প্রোগ্রামগুলো চালানো বা চিঠি লিখতে সাহায্য করবে। এতে অনেক অফিসের কাজ আরও সুনিপুণ হবে। শ্রম ও সময় বাঁচবে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে মানুষের চাকরীর বাজার সঙ্কুচিত হয়ে যাবে।

ইতিমধ্যেই চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর চ্যাটবট ‘বার্ড’ আনার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। এদিকে চ্যাটজিপিটি সমৃদ্ধ হয়ে আসছে বিংয়ের নতুন সংস্করণ।

ইউএস ফার্ম ওপেনএআই দ্বারা তৈরি এবং মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন দ্বারা সমর্থিত চ্যাটজিপিটি ইতিহাসে দ্রুততম বর্ধনশীল গ্রাহক অ্যাপ হিসেবে রেট করা হয়েছে।

তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, চ্যাটজিপিটি আসলে নিজে থেকে কিছু জানে না। তাকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বা তৈরি করা হয়েছে যে, সে তার তথ্যভাণ্ডারে থাকা তথ্য-উপাত্ত খুঁজে উত্তরটি তৈরি করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিসকোর ‘ওপেনএআই’ নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান চ্যাটজিপিটি উদ্ভাবন করেছে। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইলন মাস্ক এবং স্যাম অ্যাল্টম্যানসহ আরও কয়েকজন। যদিও ইলন মাস্ক ২০১৮ সালে বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেন।

এই প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো ‘নিরাপদ এবং সুবিধার’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সক্ষমতা বাড়াতে সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ২০১৯ সালে এই কোম্পানিতে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল মাইক্রোসফট।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss