দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আংশিকভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আগামী ২ মার্চ সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশকে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সংযুক্তকারী সাবমেরিন কমিউনিকেশন ক্যাবল সিস্টেম সি-মি-উই-৪ সিঙ্গাপুর অংশের সার্কিট এই সময়ের মধ্যে আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘রক্ষণাবেক্ষণের সময়কালে বিএসসিপিএলসির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক মন্থরতা বা বাধার সম্মুখীন হতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৫ চালু থাকবে।
দেশে বর্তমানে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার জিবিপিএসে। এর অর্ধেকেরও বেশি—প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস—আসে আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল কেবল লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে। বাকি প্রায় ২ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হয়। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। ২০১৭ সালে সি-মি-উই-৫ চালুর পর থেকে এর মাধ্যমে আরও ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বিএসসিপিএলসি ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৬ স্থাপনের মাধ্যমে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে। এ ছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা প্রায় ছয় গুণ বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬০০ জিবিপিএসে উন্নীত করতে তিন দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে।
দেশের প্রথম বেসরকারি সাবমেরিন কেবল স্থাপনের জন্য কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে সামিট কমিউনিকেশনস, সিডিনেট কমিউনিকেশনস এবং মেটাকোর সাবকম লিমিটেড। ২০২৫ সালের মধ্যে এই কনসোর্টিয়াম ৪৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে।
চস/স