কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুই বছর ধরে সীমান্তে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। বিদেশি পর্যটকদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। দেশটির সরকারের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, মার্চের শুরুতেই খুলে দেয়া হতে পারে সীমান্ত।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন অ্যান্ড্রুজ রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে হ্যারল্ড সান পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে। পর্যটকরা আগামী ১ মাসের মধ্যে ফিরতে পারবেন অস্ট্রেলিয়ায়।
অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন কর্তৃপক্ষ বলছে, মহামারির আগে দেশটির এই খাত থেকে বার্ষিক আয় ছিল ৮৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জানা গেছে, এই খাতে কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে দেশটির ৫ শতাংশ মানুষ। যা করোনা মহামারির কারণে ধ্বসে পড়েছে। সীমান্ত খুলে দিলে অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন খাত আবারও চাঙ্গা হবে।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর বিদেশ থেকে নিজেদের কিছু নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দেয়নি তারা। বের হতে দেওয়া হয়নি দেশের মানুষকেও। যারা অস্ট্রেলিয়া গেছেন, তাদেরও বাধ্যতামূলকভাবে নিজ খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে। পরে ধীরে ধীরে শর্ত শিথিল হলেও বন্ধই থাকে পর্যটকদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দুয়ার।
সূত্র: ব্লুমবার্গ