আজ (২৯ মার্চ) রাতে পালিত হবে পবিত্র শবেবরাত। ফারসি শব্দ ‘শবেবরাতে’র অর্থ ভাগ্যরজনী। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে পরবর্তী বছরের ভাগ্য নির্ধারণ হয়।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস- শবেবরাতের রাতে রয়েছে পাপ মোচনের সুযোগ। এ রাতে নির্ধারণ হয় পরবর্তী বছরের হায়াত, রিজিক, আমল। তাই অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, মিলাদ-মাহফিল, নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তেলাওয়াত করেন শবেবরাতে; মৃত স্বজনের কবর জিয়ারত করেন।
শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, এ মহিমান্বিত রজনী মানবজাতিকে আল্লাহতায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের সুযোগ এনে দেয়। শবেবরাত সবার জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
শবেবরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে অনেকে আজ রোজা রাখবেন। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীর বাড়িতে ইফতার বিতরণের রেওয়াজও রয়েছে। শবেবরাত উপলক্ষে হালুয়া-রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। বিশেষত পুরান ঢাকায় রুটি-মাংস বিতরণ করা হয় শবেবরাতের সন্ধ্যায়। তরুণ-যুবারা রাতভর ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করেন। গত বছর করোনার কারণে এসব আয়োজন ছিল একেবারেই সীমিত।
আরো পড়ুন: `জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে হবে’
শবেবরাত উপলক্ষে সোমবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমসহ প্রতিটি মসজিদে বিশেষ ওয়াজ মাহফিল ও দোয়া হবে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে একই আয়োজন রেখেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মাগরিবের নামাজের পর বয়ান শুরু হবে। এশার নামাজের পর দোয়া হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
চস/স