spot_img

১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নভেম্বরে ৫২৬ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫০৭ জন

গত নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৫৭৭টি দুর্ঘটনায় ৫৫৩ জন নিহত এবং ৯০০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সড়ক দুর্ঘটনাতেই ৫২৬টি ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০৭ জন, আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সংঘটিত সাতটি দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হন এবং চারজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ মিলিয়ে মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৭টি।

এই সময়ে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ছিল উদ্বেগজনক। নভেম্বর মাসে ১৯৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০১ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মোট নিহতের ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ এবং আহতের ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত এবং ২৫৭ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে ১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৯ জন।

সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ জন সদস্য, ১১৩ জন চালক, ৯৭ জন পথচারী, ৪১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ১২ জন শিক্ষক, ৮০ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ৫ জন চিকিৎসক, ৫ জন সাংবাদিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬ জন নেতাকর্মীর পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৪ জন পুলিশ সদস্য, ১ জন র‍্যাব সদস্য, ১ জন সেনা সদস্য, ৫ জন চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক, ১০৯ জন চালক, ৯৩ জন পথচারী, ৭১ জন নারী, ৫০ জন শিশু, ৪৩ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ১২ জন শিক্ষক এবং ৬ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে সংঘটিত দুর্ঘটনায় মোট ৭৪৬টি যানবাহনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩ শতাংশ বাস, ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭ দশমিক ১০ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯ দশমিক ১১ শতাংশ নছিমন, করিমন, মাহিন্দ্রা, ট্রাক্টর ও লেগুনা এবং ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ কার, জিপ ও মাইক্রোবাস।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় ঘটেছে। এছাড়া ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষে, ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ অন্যান্য কারণে, ০ দশমিক ৫৭ শতাংশ ওড়না চাকায় পেঁচিয়ে এবং ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষে ঘটে।

সড়কের ধরন অনুযায়ী দুর্ঘটনার চিত্রে দেখা যায়, ৩৮ দশমিক ০২ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৩০ দশমিক ২২ শতাংশ ফিডার রোডে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রেলক্রসিংয়ে ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে গর্ত সৃষ্টি, মহাসড়কে অবাধে ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল, রোড সাইন ও মার্কিংয়ের অভাব, মিডিয়ান না থাকা, নির্মাণ ও যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, চাঁদাবাজি, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়া ও বিশ্রামহীনভাবে গাড়ি চালানো—এসবই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংগঠনটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার জোরদার, মহাসড়কে আলোকসজ্জা, দক্ষ চালক তৈরি, ডিজিটাল ফিটনেস ব্যবস্থা, সার্ভিস লেন ও ফুটপাত নির্মাণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, রোড সাইন ও মার্কিং স্থাপন, সড়ক পরিবহন আইন ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ, আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন স্ক্র্যাপের সুপারিশ করেছে।

চস/স

হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্সটি দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

হাদির সঙ্গে তার দুই ভাইও সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন।

এর আগে বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।

শরিফ ওসমান হাদি জুলাই আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র। তিনি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী। গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চস/স

শাওন-আনিস আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযোগ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ এই অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন মারিয়া কিশপট্ট ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়লেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে আসছেনৎ

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা হিসেবে দেখানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এসব বক্তব্য ও পোস্টের মাধ্যমে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উৎসাহিত হয়ে রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে।

এদিকে অভিযোগ দায়েরের পর রোববার রাতেই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। ডিবি প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডি ২ নম্বরে অবস্থিত একটি জিম থেকে বের হওয়ার পর আনিস আলমগীরকে ডিবিতে নেওয়া হয়। জিমটির ম্যানেজার আরেফিন গণমাধ্যমকে জানান, সন্ধ্যায় জিমে এসে ব্যায়াম শেষে রাত আটটার দিকে তিনি বের হয়ে যান। জিমের ভেতরে পুলিশের কাউকে তিনি দেখেননি বলেও জানান।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে দেওয়া বক্তব্যের কারণে আলোচনায় ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আলমগীর। তিনি দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

চস/স

হাদিকে নিতে পৌঁছেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, দুপুরে ছাড়বে ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢকায় অবতরণ করেছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ২০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। দুপুর দেড়টায় তাকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে অসপ্রে এভিয়েশনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ দুপুরে আহত ওসমান হাদিকে নিয়ে ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।

এর আগে রোববার শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি এর মধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও জানানো হয়, হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান ড. ইউনূসকে জানিয়েছেন, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয় নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি রিকশায় করে যাওয়ার পথে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রসীদের হামলার শিকার হন।

এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

চস/স

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ফল প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী, যা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অনিয়মের দায়ে ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮১ হাজার ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী। উত্তীর্ণদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন, যা মোট পাস করা পরীক্ষার্থীর ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। অপরদিকে নারী পরীক্ষার্থী পাস করেছেন ৫০ হাজার ৫১৪ জন, যা ৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের বছরের তুলনায় এবার পাসের হার মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। নারী পরীক্ষার্থীদের পাসের হার তুলনামূলক বেশি থাকাও সাম্প্রতিক বছরগুলোর ধারাবাহিক প্রবণতার সঙ্গে মিলেছে।

ভর্তি সংক্রান্ত পরবর্তী ধাপ, মেধাক্রম অনুযায়ী কলেজ নির্বাচন ও ভর্তির সময়সূচি খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চস/স

চট্টগ্রামে ৩ দিনব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বিজয় মেলা। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) নগরীর সিআরবি শিরীষ তলায় এ মেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হুমায়ুন কবির ও চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন।

এরআগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের এই মাসে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে সাজানো মেলায় ৩২টি স্টলে থাকছে নান্দনিক চারু ও কারুশিল্প, চট্টগ্রামের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রকমারি শিল্প পণ্য এবং ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের সমাহার।

চস/স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সমুদ্র সৈকতে হামলায় নিহত অন্তত ১০

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে বন্দুক হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও এক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজকে পুলিশ বলেছে, সন্ধ্যায় বন্ডি সমুদ্র সৈকতে গোলাগুলির ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন হামলাকারী এবং বাকি ৯ জন ভুক্তভোগী।

এই ঘটনায় আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গোলাগুলির খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো একাধিক পুলিশ সদস্যও আছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে দ্বিতীয় একজন হামলাকারীও রয়েছেন। ওই হামলাকারীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউ সাউথ ওয়েলস অ্যাম্বুলেন্সের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এই ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জরুরি সেবা সংস্থার কর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং তারা মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করছেন।

এবিসি নিউজে সম্প্রচারিত ফুটেজে মাটিতে একাধিক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেশটির সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে ৩০ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা হ্যারি উইলসন বলেন, আমি অন্তত ১০ জনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছি, চারদিকে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলেছেন, হনুকা উৎসবের প্রথম মোমবাতি জ্বালাতে সমুদ্রসৈকতে যাওয়া ইহুদি জনগোষ্ঠীর ওপর সন্ত্রাসীরা জঘন্য হামলা চালিয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সমুদ্রসৈকতগুলোর একটি বন্ডি। সাধারণত স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের ভিড়ে পরিপূর্ণ থাকে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে সন্ধ্যার দিকে এই সৈকতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। সূত্র: এবিসি

চস/স

মিরসরাইয়ে ছাত্রদলকর্মী হত্যায় আরেক ছাত্রদলকর্মী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বারইয়ারহাটে ছাত্রদল কর্মী তাহমিদ উল্যাহ (১৮) হত্যার ঘটনায় জড়িত অপর এক ছাত্রদল কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় বারইয়ারহাট পৌরসভার রবিউল হক সওদাগরের বাড়ির সামনের পানির ড্রেন থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ছাত্রদলকর্মীর নাম মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে চাকমা জাহিদ (২০)।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন তাজপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক এ তথ্য জানান।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর বারইয়ারহাট পৌর বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে তাহমিদ খান নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাহমিদ খানের মা জোহরা বেগম ১২ ডিসেম্বর রাতে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় ছাত্রদলকর্মী চাকমা জাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, তাহমিদ হত্যার অন্যতম আসামি জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে হত্যার ঘটনায় জাহিদ জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেছে সে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে বারইয়ারহাট পৌরসভার জামালপুর রবিউল হক সওদাগর বাড়ির সামনের পানির ড্রেন থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামি জাহিদুলকে আদালতে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদে সে অন্যান্য আসামিদের নাম বলেছে। আমরা তাদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি।

চস/স

শীর্ষ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শীর্ষ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অনেকে হুমকি-ধামকি পেয়েছেন। হাদীর ঘটনার পর শীর্ষস্থানীয় জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ বলছে, হাজার হাজার জুলাই যোদ্ধার নিরাপত্তা ব্যক্তি পর্যায়ে বা আলাদা করে নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তবে হাদীর মতো যারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন, অথবা গান পয়েন্টে (বিপজ্জনক অবস্থায়) আছেন, তাদের নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার তদন্ত সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিস্তারিত আসছে….

মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান: মেয়র ডা. শাহাদাত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তাই তাদের স্মৃতিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ জরুরি।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বদ্ধভূমিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মেয়র বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর আমাদের দেশের যেসব সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদের অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা, যারা ছিলেন দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক মেরুদণ্ড।

“শহিদুল্লাহ কায়সার কিংবা জহির রায়হান বা ডাক্তার আব্দুল আলিম কিংবা গোবিন্দচন্দ্রসহ বুদ্ধিজীবীদের সেদিন হত্যা করা হয়েছিল জাতিকে মেধাশূন্য করতে। তাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তবে, স্বাধীনতার যে মূল মন্ত্র ন্যায্যতা, সাম্যতা, মানবাধিকার, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এখনো সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাংলাদেশের লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় আমরা সেদিন পরিপূর্ণভাবে অর্জন করতে পারব যেদিন মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার গুলো ফিরে পাবে। “

মেয়র আরো বলেন, এই লক্ষ্যে মনে করি আগামী ১২ ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০১ সালের পর থেকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন এখনো পর্যন্ত মানুষ দেখেনি।

২০০৮ এর নির্বাচনে কিন্তু একটা সূক্ষ্ম কারচুপি আমরা দেখেছি সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে। আমরা যদি ২০১৪ সালের নির্বাচনের কথা বলি সেটা ছিল একটা ভোটার বিহীন নির্বাচন। ২০১৮ সালের নির্বাচন দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ২৪ সালের নির্বাচন আমি-তুমি-ডামির একটা নির্বাচন হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে ২০২৬ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিকে। গত ১৬-১৮ বছর নির্বাচনের নামে তামাশা দেখেছে জনগণ। নির্বাচনের নামে নির্বাসিত করা হয়েছিল। নির্যাতন করা হয়েছিল। মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। সবাই মিলেমিশে একসাথে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চায়। মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়।

“শহীদ বুদ্ধিজীবীরা একটি লাল সবুজের পতাকার জন্য, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিল। আমরা যদি গণতান্ত্রিক একটি বাংলাদেশ ফিরে পেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের যে অধিকার আমরা হারিয়েছি সে অধিকার আমাদেরকে অবশ্যই অর্জন করতে হবে। আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে সবাই মিলেমিশে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব’ এই গণতান্ত্রিক চর্চাকে সেদিন আবার সমুন্নত করতে হবে। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায়নি। ইনশাআল্লাহ আমরা মনে করি শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না। বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র সূচিত হবে।”

চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের এখানে নগর সরকার নেই। আমাদের চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের কোন শহরে সিটি গভর্মেন্ট এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যার কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কমপ্লিটলি সিটি মেয়রের আন্ডারে নেই যেহেতু রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে নেই। তারপরেও আমরা একটা কোঅর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজ করছি। আমি এখনো পুলিশ কমিশনারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলতে চাই যেকোন ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আপনাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

“আমি আধুনিক সিটিগুলোতে ঘুরে এসেছি। লন্ডনে বলুন, কানাডাতে বলুন সেখানকার মেয়রগুলোর আন্ডারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ সেখানে সিটি গভর্মেন্ট আছে। আমাদের নগর সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত একটা পরিকল্পিত এবং একটা সেফ, ক্লিন, গ্রিন, হেলদি সিটি করাটা আসলে কঠিন। তবে আমরা অবশ্যই চেষ্টা চালিয়ে যাব। যেভাবে আমরা জলাবদ্ধতাকে ইনশাআল্লাহ ৬০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পেরেছি সবার সমন্বয়ের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, আমরা যদি কোঅর্ডিনেশনে কাজ করতে পারি সমস্ত সার্ভিস ওরিয়েন্টেড অর্গানাইজেশন গুলো আমরা যদি কাঁধে কাধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করতে পারি তাহলে এটা অসম্ভব কিছু নয় এই শহরকে নিরাপদ রাখা।”

অরক্ষিত বধ্যভূমির বিষয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে যেসব বদ্ধভূমি এখনো অরক্ষিত অবস্থায় আছে আমরা সেগুলো সুরক্ষিত করব। আমরা সামনের নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছি। কারণ রাষ্ট্রীয় কিছু বাজেট খুবই দরকার। আমি যখনই কোন একটা ডিপিপি রেডি করে মন্ত্রণালয় দিচ্ছি সেটা কিন্তু হচ্ছে না কারণ সেখানে বাজেট সংকট রয়েছে এবং গণতান্ত্রিক কোন সরকার যদি না আসে কেউ বাইর থেকে এসে ইনভেস্টও করছে না। ইতিমধ্যে আমি অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি এই শহরকে সুন্দর করার জন্য।

“আমি বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার জন্য, বায়োগ্যাস করার জন্য, গ্রীন ডিজেল করার জন্য, ইলেকট্রিসিটি উৎপাদন করার জন্য কিংবা সোলার ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য পরিবেশবান্ধব একটি শহর করার জন্য অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। অনেক ডিপিপি রেডি করে ফাইলও মন্ত্রণালয়ে আছে। চট্টগ্রাম শহরের মানুষের জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য এবং এই শহরকে একটি সুন্দর জনবান্ধব পরিবেশবান্ধব করার জন্য যা যা করার জন্য দরকার সে আইডিয়াগুলো আমাদের আছে। আমরা মনে করি সামনে যদি একটা গণতান্ত্রিক সরকার আসে নির্বাচনের মাধ্যমে তাহলে চট্টগ্রামের মানুষের আকাঙ্ক্ষিত কাজগুলো অবশ্যই তারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে পাবে।”

এসময় মেয়র শাহাদাতের সাথে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ এবং সর্বস্তরের জনগণ।

চস/স