spot_img

২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

ডিপিএল

সোহান-জিয়ার ঝড়ো ইনিংসে সাকিবের মোহামেডান বিধ্বস্ত

সাম্প্রতিক সময়ে সব ধরনের ক্রিকেটে রানখরায় ভোগা সাকিব আল হাসান আবারও করলেন হতাশ। তার ব্যর্থতার দিনে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবও ধুঁকল। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও জিয়াউর রহমানের ঝড়ো ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব তাদেরকে দিল প্রথম হারের স্বাদ।

সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের বিপক্ষে শেখ জামাল জিতেছে ১৬ রানে। শেষদিকের অগোছালো বোলিং আর ব্যাটিং ব্যর্থতার সমন্বয়ে লড়াই ছাড়াই হেরেছে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। প্রতিপক্ষের ৫ উইকেটে ১৬১ রানের জবাবে সাকিবরা থামেন ৮ উইকেটে ১৪৫ রানে।

আসরের আগের তিন ম্যাচে জেতা মোহামেডানের দুর্দশার শুরুটা দ্বিতীয় ওভারেই। পারভেজ হোসেন ইমনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন অফ স্পিনার মোহাম্মদ এনামুল। রানের খাতা খুলতে পারেননি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই ব্যাটসম্যান।

নিজের পরের ওভারে সাকিবের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি শিকার করেন এনামুল। তিনে নেমে থিতু হওয়ার প্রচেষ্টা বাদ দিয়ে ছটফট করছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা তারকা। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ঘটে বিপদ। ব্যাটে-বলে সংযোগ না হওয়ায় বোল্ড হয়ে যান তিনি। তার সংগ্রহ ৯ বলে ৩ রান।

মাহমুদুল হাসান ও ইরফান শুক্কুর তড়িঘড়ি আউট হলে ষষ্ঠ ওভারে ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। এরপর ৪৮ রানের জুটি গড়েন শামসুর রহমান ও নাদিফ চৌধুরী। কিন্তু সোহান-জিয়াউরদের মতো শেষদিকে আগ্রাসন চালাতে পারেননি দলটির ব্যাটসম্যানরা।

শামসুর ২৩ বলে ২৯ রান করে জিয়ার শিকার হন। একাই দলকে টানতে থাকা নাদিফ শেষ ওভারে ফেরেন ৪৩ বলে ৫৭ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ৪ ছক্কা। এছাড়া, শুভাগত হোম ৮ বলে ১৩ ও আবু হায়দার রনি ৮ বলে ১৪ রান করেন। শেষ ছয় ওভারে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ৬৩ রান দরকার ছিল মোহামেডানের। তবে ৪৬ রান তুলতে পারায় লক্ষ্য থেকে বেশ দূরে থামে তারা।

এনামুল তিন ওভারে ১৩ রানে নেন ৩ উইকেট। জিয়া চার ওভারে ২ উইকেট দখল করেন ২০ রান খরচায়। উইকেটের দেখা পান ইবাদত হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল আর ইলিয়াস সানিও।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামালের উদ্বোধনী জুটি টিকেছিল সাত ওভার পর্যন্ত। কিন্তু রানের গতি ছিল একেবারে মন্থর। মোহাম্মদ আশরাফুলকে ফিরিয়ে ৩০ রানের এই জুটি ভাঙেন সাকিব। ২৪ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করেন আশরাফুল। এক বল পর ফারদিন হাসানকে সাকিব এলবিডব্লিউ করলে চাপে পড়ে দলটি।

চারে নামা নাসির হোসেন টিকতে পারেননি। আরেক ওপেনার সৈকত আলীর ধীর গতির ইনিংসের ইতি ঘটান বাঁহাতি স্পিনার আসিফ হাসান। ২৯ বল খেলে ২০ রান আসে তার তার ব্যাট থেকে। ইলিয়াস সানিও দ্রুত আউট হলে ৮১ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে শেখ জামালের।

বিপর্যয়ে পড়া দলটির হয়ে এরপর জ্বলে ওঠেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল। তিনি সঙ্গী হিসেবে পান জিয়াকে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন বিস্ফোরক জুটিতে আসে ৪১ বলে ৮০ রান। তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী ও আবু হায়দাররা একদমই পাত্তা পাননি তাদের কাছে। নুরুল ফিফটি হাঁকিয়ে করেন ৩৪ বলে ৬৬ রান। তিনি মারেন ৪ চার ও ৫ ছক্কা। জিয়া ১ চার ও ৩ ছয়ে ১৭ বলে ৩৫ রান করেন ১৭ বলে।

মোহামেডানের পক্ষে আগেই বোলিং শেষ করে ফেলা সাকিব চার ওভারে ১২ রানে পান ২ উইকেট। সমানসংখ্যক উইকেট নেন আবু হায়দারও। এই বাঁহাতি পেসার অবশ্য ছিলেন বেজায় খরুচে। তার চার ওভারে আসে ৫৩ রান।

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss