spot_img

২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে থাকবে না বয়সের বাধা: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার দ্বার আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করছি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের বাধা আমরা তুলে দিতে চাই। আশা করি, সবাই এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। দ্রুততার সঙ্গে এটি করতে পারলে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আর কোনো বয়সের বাধা থাকবে না।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিতে আসন সংকট হবে না। মাধ্যমিকে যে পরিমাণ পাস করে তার চেয়ে আমাদের আসন সংখ্যা বেশি রয়েছে। তাই মাধ্যমিকে পাস করা সব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও আসন খালি খাকবে।

তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। এরই মধ্যে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। আগামীতেও ক্রমাগতভাবে এসব প্রশিক্ষণ চলবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতিমারির মধ্যে অনলাইন শিক্ষায় আমরা এগিয়ে গিয়েছি। সফলভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করানো সম্ভব হয়েছে। সব শিক্ষককে সরাসরি ও অনলাইনভিত্তিক নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া অব্যাহত থাকবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, বর্তমানে পাঠ্যপুস্তক তৈরিতে কাগজের সংকট দেখা দিয়েছে। বৈশিকভাবে এ সংকট রয়েছে। এখন কাগজের দাম বেড়েছে। কিছুটা সংকট আমাদেরও তৈরি হয়েছে। এটি নিয়ে বড় ধরনের বিপর্যয় হবে না। আমরা আশা করি, যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারবো।

তিনি বলেন, বিজ্ঞান নিয়ে কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি কাজ করে বলে মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থী বেশি হয়। অংক পারি না, বিজ্ঞান বুঝি না- এমন ধারণা অনেকের থাকে। আমাদের উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিক্ষকের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামে পড়ে-বুঝেই পরের ক্লাসে যেতে হবে। কেউ পারবে না বলে শিক্ষক তাকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়া থেকে বঞ্চিত করবে সে পরিস্থিতি থাকছে না। আমরা মনে করি শিক্ষার্থী বিজ্ঞানে যেতে চাইলে তাকে পড়তে দেওয়া উচিত। যদি সেখানে সে ভালো করতে না পারে তবে বিভাগ বদলাতে পারে। এখন বিজ্ঞানে পড়তে হবে। মানবিকে পড়লে যে আমি তথ্যপ্রযুক্তি বা বিজ্ঞানে যেতে পারবো না এখন আর সেটি নেই। মানবিকে পড়ে অনেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে ভালো করছে। যে কোনো বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য বেশি জরুরি হচ্ছে সফট স্কিল, এন্টারপ্রিনিয়রশিপ (উদ্যোক্তা) স্কিল। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব বিভাগের কোর্সের মধ্যে ভাষা শিক্ষা, আইসিটি, সফট স্কিল, উদ্যোক্তা ও নৈতিকতা যুক্ত করতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে এ বিষয়গুলো বুঝে সনদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবে। যে কোনো বিভাগ থেকে এসব দক্ষতা নিয়ে বের হলে যে কোনো কাজেই সফল হওয়া সম্ভব হবে।

 

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss