আজ ১৯ নভেম্বর। বিশ্ব পুরুষ দিবস। বিশ্বব্যাপী লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে “জিরো মেল সুইসাইড” এর উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা থাকে এবং সেটা শূন্যে নামিয়ে আনাই লক্ষ্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্ণতায় বেশি ভুগলেও পুরুষে মধ্যে আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।
পুরুষ দিবস পালনে প্রথমে ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারন করা হলেও আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করা ফেলেছিল রাশিয়া। তাই পরে ১৯ নভেম্বর পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯২২ সালে।
এর কয়েক বছর আগেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে। সেই যুদ্ধে নিহত সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ পালন করা হতো। সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ, চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে।
চস/আজহার