‘আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটার ২০২৩’ পুরস্কার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার ন্যাট শিভার। তিনি গতবছরও সেরা হয়েছিলেন। এ ছাড়া ওয়ানডেতে ভারতের বিরাট কোহলি এবং টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা বর্ষসেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পেয়েছেন।
বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় কামিন্সের সঙ্গে ছিলেন ভারতের বিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজা এবং অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। বাকি তিনজনকে ছাড়িয়ে যাওয়া কামিন্স ২০২৩ সালে মোট ২৪টি ম্যাচ খেলে বল হাতে ৫৯ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৪২২ রান করেন।
কামিন্স অবশ্য সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন অধিনায়ক হিসেবে। ২০২৩ সালের জুনে তার নেতৃত্বে ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জেতে অস্ট্রেলিয়া। বছরের শেষ দিকে একই দলকে আহমেদাবাদে হারিয়ে জেতে ষষ্ঠ ওয়ানডে বিশ্বকাপও। মাঝে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ ২–২ সমতা রেখে অ্যাশেজও ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া।
টেস্টে বর্ষসেরা হওয়ার পথে খাজা পেছনে ফেলেছেন স্বদেশী ট্রাভিস হেড, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ইংল্যান্ডের জো রুটকে। ২০২৩ সালে ১৩ টেস্টে ১২১০ রান করেন এই অস্ট্রেলিয়ান বাঁহাতি।
পুরুষদের ওয়ানডেতে কোহলি বর্ষসেরা হয়েছেন শুবমান গিল, মোহাম্মদ শামি ও ড্যারিল মিচেলকে টপকে। ২০২৩ সালে ২৭ ওয়ানডেতে ১৩৭৭ রান কোহলি। যার মধ্যে বিশ্বকাপেই তোলেন ৭৬৫ রান। এটি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এ ছাড়া বিশ্বকাপেই পঞ্চাশতম শতকের মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি, ভেঙে দেন শচীন টেন্ডুলকারের দুই যুগ স্থায়ী রেকর্ড ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
নারী ক্রিকেটে বর্ষসেরার রাচেল ফ্লিন্ট অ্যাওয়ার্ড জিততে সিভার টপকাতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ গার্ডনার ও বেট মুনি এবং শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু। ২০২৩ সালে ১৮টি ম্যাচ খেলে ৮৯৪ রান ও ৯ উইকেট নেন ন্যাট শিভার। বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামিরা আত্তাপত্তু।
চস/আজহার
