spot_img

২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

দেশে তাপমাত্রা নামল ৫.৫ ডিগ্রিতে

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ১০ ডিগ্রি থেকে তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৫ ডিগ্রির ঘরে। হাঁড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায় ছিন্নমূল মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ সীমান্ত জনপদ। হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা। দূর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন গৃহপালিত ও বন্য প্রাণীরাও।

লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়াজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।

শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। কামাই-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অভাবে ওষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় এ জেলায় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এ তাপমাত্রা রেকর্ডে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। গত কয়েক দিন থেকেই এ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি, এরপর দুইদিন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলে। কুয়াশা ও হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্রশীত অনুভূত হচ্ছে।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss