গত ৮ নভেম্বর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিন মাস পূর্ণ করেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর গত তিন মাসে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কী কাজ করেছে তার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের গত তিন মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য অর্জন ও কার্যক্রম নিচে তুলে ধরা হলো:
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়:
১. দেশে পেঁয়াজ ও আলুর বাজার মূল্য কমানোর লক্ষ্যে সরকার এস আর ও নম্বর ৩০৬ ও ৩০৭ মূলে যথাক্রমে আলু ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাস করেছে। আলুর ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্কহার ৩৩% হতে ১৫% কমিয়েছে এবং পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ১০% হতে কমিয়ে ৫% করেছে, এর ফলে আলু ও পেঁয়াজের বাজারদর হ্রাস পেয়েছে।
২. সরকার কর্তৃক এস আর ও নম্বর ৩৫৫-আইন/২০২৪/২৬১-মূসক মূলে পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেল স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে তাদের উপর আরোপণীয় সমুদয় মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
৩. দেশে ভোজ্যতেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এস আর ও নম্বর ৩৫৬-আইন/২০২৪/২৬২-মূসক মূলে পরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত পাম তেলের আমদানি পর্যায়ে আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর ১৫% থেকে হ্রাস করে ১০% করা হয়েছে।
৪. দেশে ডিমের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এস আর ও নম্বর ৩৫৯-আইন/২০২৪/৯১/কাস্টমস মূলে ডিমের আমদানির ক্ষেত্রে আরোপণীয় কাস্টমস ডিউটি ২৫% থেকে হ্রাস করে ৫% করেছে।
৫. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবারাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য ৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
৬. ‘রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭’ গত ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে।
৭. ভোগ্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব মনিটরিং টিমের পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। উল্লেখ্য, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক আগস্ট ২০২৪ থেকে অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে ৩,৩৫৩টি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাজার অভিযানের মাধ্যমে ৬,৫৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে দন্ডিত করা হয় এবং দন্ডিত প্রতিষ্ঠান হতে ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৮. সমগ্র দেশের প্রায় ১ কোটি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও অভ্যন্তরীণ বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদি বিক্রয় কার্যক্রম জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। টিসিবির কার্ডধারী উপকারভোগী ২ কেজি মশুর ডাল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ও ২ লিটার ভোজ্যতেল বোতলজাত প্রতি লিটার ১০০ টাকা এবং খাদ্য অধিদপ্তরের ৫ কেজি করে চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান আছে।
৯. ১৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে গাজীপুরে ১,০০০ জন গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাঝে ২ কেজি মশুর ডাল, ২ লিটার ভোজ্যতেল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রাপ্ত ৫ কেজি করে চাল পূর্ব নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
১০. ২৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ হতে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এ কার্যক্রমে জনপ্রতি ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার ভোজ্যতেল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রাপ্ত ৫ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়:
১. খাদ্যশস্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ওএমএস নীতিমালা ২০১৫ ও খাদ্যবান্ধব নীতিমালা ২০১৭ সংশোধনপূর্বক আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে অনেক ওএমএস ডিলার খাদ্যশস্য উত্তোলন ও ভোক্তাদের নিকট খাদ্যসামগ্রী বিক্রয় বন্ধ করে রেখেছেন।
এছাড়া এ দুটি নীতিমালা অনুসারে নিয়োগকৃত ডিলারের কার্যক্রমের মেয়াদ সুনির্দিষ্ট ছিল না; এতে ডিলারগণ দীর্ঘদিন নিয়োজিত থাকায় বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত হওয়ায় জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যমান এ দু’টি নীতিমালা সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগী করা হয়েছে।
২. চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সম্প্রতি বন্যাকবলিত ১৪টি জেলার উপজেলাসমূহে পৌরসভা/ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বন্যা পরবর্তী সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রমে মোট ২৩০টি কেন্দ্রে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর ২০২৪ মাসে মোট ৪৩ বিক্রয় দিবসে সর্বমোট ৯,৮৯০ মেট্রিক টন চাল ও ৯,৮৯০ মেট্রিক টন আটা বিক্রয়ের লক্ষ্যে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়। যার ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বন্যার্তদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং খাদ্যশস্যের দাম মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে থাকে।
৩. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনায় দেশের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিতরণ ব্যবস্থা নির্বিঘœ রাখতে সাধারণ ওএমএস কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। সাধারণ ওএমএস খাতে বর্তমানে সারাদেশে সর্বমোট ১,১৩৩টি কেন্দ্রে খাদ্যশস্য বিক্রয় করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় দেশের যে কোনো নাগরিক সপ্তাহে একবার সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল ও প্রতি কেজি ২৪ টাকা দরে ৫ কেজি খোলা আটা সংগ্রহ করতে পারে । ঢাকা মহানগরীতে উল্লিখিত কার্যক্রমে ৫ কেজি চালের সঙ্গে খোলা আটার পরিবর্তে ২ কেজি ৫৫ টাকা দরে ২ প্যাকেট আটা প্যাকেট আটা হিসেবে সংগ্রহ করতে পারছে। যার ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে চাল ও আটার দাম মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
৪. খাদ্যশস্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার নিমিত্ত ধান ও চালের মূল্যের বাজার মনিটরিং করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর একটি অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। দেশের প্রধান প্রধান ধান উৎপাদনকারী জেলার গুরুত্বপূর্ণ হাট বাজারের ধান ও চালের রিয়েল টাইম পাইকারি বিক্রয়মূল্যের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ধান ও ধানের বাজার মূল্যের রিয়েল টাইম মনিটরিং নামক আইডিয়াটি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ ধান ও চালের হাট বাজার হতে ধান ও চালের পাইকারি বিক্রয় মূল্য সংগ্রহ করে একটি কেন্দ্রিয় ডেটাবেইজে সংরক্ষণের লক্ষ্যে মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে।
৫. এসডিজিতে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব তথা ‘নো পোভার্টি’ ও ‘জিরো হাঙ্গার’ অর্জনের প্রত্যয় ঘোষিত হয়েছে। বর্তমান সরকার খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। এ লক্ষ্য, প্রত্যয় ও অভিপ্রায় অর্জনের জন্য এবং পল্লী অঞ্চলের জনসাধারণকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ পরিবার অর্থাৎ প্রায় ২.৫ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করতে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মাভাবকালীন (সাধারণত যে সময় গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে) ৫ মাস (মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর) প্রতিকেজি ১৫ টাকা দরে মাসে ৩০ কেজি হারে চাল বিতরণ করা হয়। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর খাদ্যশস্যের সহায়তা, সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীলতা রাখার স্বার্থে ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বর/২০২৪ মাসের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালনার লক্ষ্যে চাল উত্তোলনের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে ভোক্তার ডেটাবেজ প্রস্তুত করা হয়েছে।
৬. বর্তমানে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। সরকারি গুদামে চালের মজুদ আছে ৯.০৮ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ৪.৫০ লাখ মেট্রিক টন; ধান ৪০৬১ মেট্রিক টন; মোট খাদ্যশস্য মজুদ ১৩.৬০ লাখ মেট্রিক টন (০৪ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত)। ন্যূনতম ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকা আবশ্যক হলেও প্রায় ২.৬০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বেশি মজুদ রয়েছে যা খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে।
৭. বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির লক্ষ্যে সব ধরণের শুল্ক প্রত্যাহার এবং অগ্রিম আয়কর ৫% থেকে হ্রাস করে ২% করা হয়েছে।
৮. ইতোমধ্যে সংশোধিত ওএমএস নীতিমালার আওতায় নতুনভাবে সৎ ও যোগ্য ওএমএস ডিলার নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও গতিশীল হবে।
৯. আশুগঞ্জ ও চট্টগ্রাম সাইলোর বিএমআরই কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কাজ সম্পন্ন হলে দেশের খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
১০. বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফেসিলিটিজ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ৭টি স্থানে ৭টি আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির অগ্রগতি প্রায় ৮০%। স্টিল সাইলোগুলো নির্মাণ সম্পন্ন হলে ৪.৮৭ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বেশিরভাগ সাইলোর নির্মাণ কাজ ডিসেম্বর ২০২৪-এ সম্পন্ন হবে।
১১. প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্য গুদামসমূহের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে উক্ত কাজসমূহ সম্পন্ন হবে। এর ফলে বিদ্যমান গুদামসমূহের খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
আইন ও বিচার বিভাগ:
১. বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন গঠনে প্রয়াজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং গঠিত সংস্কার কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ সংশোধন বা প্রযোজ্যে ক্ষেত্রে বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এতদসংক্রান্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে পৃথক ২টি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশীজনের মতামতের আলোকে খসড়া প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
৩. বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতিসহ আপীল বিভাগে ৫ জন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি এবং অধঃস্তন আদালতে ১০৯ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৪. চেয়ারম্যানসহ আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৩ জন বিচারক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটরসহ ১১ জন প্রসিকিউটর নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
৫. আইন ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন অনুবিভাগ, অধিশাখা ও শাখার কার্যক্রমের পুনবিন্যাস এর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
৬. অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে ২৩৯ জন আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
৭. বিজিবির বিস্ফোরক মামলার জন্য ২০ জন ও ৩১ জেলার অধস্তন আদালতসমূহে ২৬৮৫ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট জেলা সমূহে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
৮. গত ০১ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সকল ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৯. সন্ত্রাস দমন আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো চিহ্নিত করে প্রত্যাহারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
১০. বিচারকগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যগণের এবং রেজিস্ট্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাগণ তথা সাব-রেজিস্ট্রার, জেলা রেজিস্ট্রার ও নিবন্ধন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যগণের সম্পদের হিসাব বিবরণী ইতোমধ্যে দাখিল করা হয়েছে। আইন ও বিচার বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মচারীদের অর্জিত সম্পদের বিবরণী দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
১১. গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থনে আইন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে।
১২. বিগত সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও গুমে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের নিমিত্ত তদন্ত কমিশন গঠনে আইন ও বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে। গঠিত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কমিশন পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত করতে পারবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ মতামত প্রদান করেছে।
১৩. আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক সময়াবদ্ধ সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়:
১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সারাদেশে নিহত ও আহত সাংবাদিকদের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে অনুদান প্রদানের জন্য এ সংক্রান্ত তালিকা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
২. পতিত সরকারের (২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত) সকল দুর্নীতি, অনাচার, দমন-পীড়ন, সাম্প্রতিক গণহত্যা হেফাজত হত্যাকাণ্ডসহ সকল হত্যাকাণ্ড খুন, গুম, আয়নাঘর, দলীয়করণ, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস, বাক-স্বাধীনতা হরণ,দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীর অপকর্মসহ সকল মানবতাবিরোধী অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করে ডকুমেন্টারি নির্মাণের জন্য ডিএফপিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
৩. ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকাশনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্র জনতার বিপ্লবের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন প্রকাশনার বিষয়বস্তু অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
৪. জাতিসংঘের তিনজন স্পেশাল রেপোটিয়ার কর্তৃক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির (১৬ জুলাই ২০২৪ হতে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ সময়ে) বিষয়ে আনীত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
৫. গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটির সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ১ জুলাই ২০২৪ পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলার তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান আছে।
৬. গত ৩ মাসে ২৩ (৫টি আংশিক) অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি হয়েছে। যার আর্থিক সংশ্লেষ ৭৬,৫১,১৮,০০০ টাকা। কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
৭. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানির সুপারিশ প্রদানের জন্য কর্মকর্তা ও ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে কমিটি, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪ অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ড কমিটি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান উপ-কমিটি, স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি, স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটি, স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি, প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট বাছাই কমিটি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদানের উদ্দেশ্য জুরি বোর্ড, বিভিন্ন পরিচালনা পর্ষদ, কমিটি ও উপ-কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সদস্য নাম প্রস্তাবের জন্য সার্চ কমিটি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড ও চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে।
৮. ২৪-২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সময়ে ‘সার্ক ফিল্ম ফেস্টিভাল (পার্টিসিপেটরি প্রোগ্রাম-শ্যীলংকা)-এ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য ৬টি চলচ্চিত্র (পূর্ণদৈঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, শিশুতোষ ও প্রামাণ্যচিত্র) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে।
৯. দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানির জন্য সুপারিশ প্রদান সংক্রান্ত কমিটি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান উপ-কমিটি, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান উপ-কমিটি পুনর্গঠনের কার্যক্রম গ্রহণ। আলোচ্য কমিটিগুলোর পুনগঠন হয়েছে। পুনগঠিত কমিটি দ্বারা চলচ্চিত্রের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
১০. বাংলাদেশ টেলিভিশনে বর্তমান সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের ওপর অনুষ্ঠান প্রচার, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ছাত্র জনতা ও তাদের পরিবারবর্গকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণপূর্বক প্রচার ও ঢাকাসহ সারাদেশে দেওয়াল লিখন, স্লোগান ও গ্রাফিতি তুলে ধরে তথ্য বিবরণীমূলক অনুষ্ঠান প্রচার।
১১. বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের গত ৩ মাসের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। মাননীয় উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সারা দেশের আহত ও নিহত সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে আহত ও নিহত সাংবাদিকদের সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়া, সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে আবেদন সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় সহস্রাধিক আবেদন জমা পড়েছে। সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ৩৫০ জন দুস্থ সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
১১. জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট থেকে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। চলমান প্রশিক্ষণ পাঠ্যধারাগুলোতে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, জুলাই বিপ্লব-২০২৪ প্রেক্ষাপট, বৈষম্যহীন মানবিক, সৃষ্টিশীল ও দুনীর্তিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম বিষয়মূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এন্ড ভিজুয়াল প্রোডাকশন টেকনিকস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ পাঠ্যধারায় প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীদের মাধ্যমে আলাদাভাবে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারণা নিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণ এবং গ্রুপ ভিত্তিক দুটি ডকুমেন্টারি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
১২. বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) থেকে (আগস্ট-২০২৪ থেকে অক্টোবর-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের ইংরেজিতে ৭০টি ও বাংলায় ৭১টিসহ মোট ১৪১টি সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করা হয়েছে। পতিত সরকারের ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল দুর্নীতি, অনাচার, দমন-পীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করা হয়েছে।
১৩. গণযোগাযোগ অধিদপ্তর থেকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও অন্যান্য জরুরি বিষয়ে ৪৮০ ইউনিট সড়ক প্রচার, মাইকিং, জনসচেতনতামূলক চলচ্চিত্র ও দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত ৫২৭টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কমিউনিটি পর্যায়ে আর্থসামাজিক ও বিবিধ বিষয়ে সরাসরি ও ভিডিওকলের মাধ্যমে ১১৯টি উঠান বৈঠক, উন্মুক্ত বৈঠক আয়োজন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন ও আর্থসামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতামূলক উদ্বুদ্ধকরণ ১৭৩টি সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন, রেকর্ডকৃত ঐরূপ সংগীত প্রচার করা হয়েছে।
১৪. বাংলাদেশ বেতার থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিক্রিয়া অনুষ্ঠান (গান, আলোচনা, সাক্ষাৎকার) এবং রাষ্ট্র সংস্কার, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, প্রতিষ্ঠানসমূহে দলীয়করণ রোধ অর্থপাচাররোধ ও আর্থিকখাত সংস্কার, সিন্ডিকেট বাণিজ্য প্রতিরোধ, দ্রব্যমূল্যর উর্দ্ধগতি রোধ, সঠিক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ, শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ক ইত্যাদি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে।
১৫. প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ, এবং গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যম সাময়িকী ২টি নিরীক্ষা প্রকাশ করা হবে (কার্যক্রম চলমান)। শহীদ শিক্ষার্থী, গ্রাফিতি, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা, আন্দোলনে আহতদের স্বাস্থ্য/চিকিৎসা বিষয়ে ২০টি ফিচার ফিচার নিবন্ধ সম্পাদনা ও প্রকাশ করা হবে (কার্যক্রম চলমান)।
১৬. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ‘বৈষম্যমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ গঠনে বিসিটিআই-এর করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার হয়েছে।
১৭. তথ্য অধিদপ্তর: মন্ত্রণালয়সমূহে জনসংযোগ কর্মকর্তা পদায়ন এবং উপদেষ্টাগণের দায়িত্ব পুনর্বণ্টনের সঙ্গে সঙ্গে একাধিকবার তাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়।
১৮. বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল গণমাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিতসহ বৈষম্য নিরসনে বিভিন্ন অংশীজনসহ গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের পৃথক ৩টি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কীভাবে প্রেস কাউন্সিলকে কার্যকর গণমাধ্যমবান্ধব ও বৈষম্যমুক্ত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায় সে বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন অংশীজন সুচিন্তিত মতামত, সুপারিশ প্রদান করেছেন।
১৯. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের আওতায় ৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ও ২টি টেইলার পরীক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জুরি বোর্ড ২০২৩ পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদানের জন্য আবেদনসমূহ যাচাই বাছাই কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনের খসড়া প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ফিল্ম ক্লাবের নিবন্ধন চুড়ান্ত করা হয়েছে। ৩টি অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
২০. চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-গণআন্দোলন এর ওপর একটি গ্রাফিতির অ্যালবাম প্রকাশের জন্য ডামি চূড়ান্ত হয়েছে।
সূত্র: বাসস
চস/স


