২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ১৭ বছর পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট ২ এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার আল মামুন জানান, সোমবার জামিনের কাগজ পত্র কারাগারে আসলে যাচাই বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির খবরে সকাল থেকেই কারা ফটকে শতশত নেতাকর্মীরা ভীড় জমান। পরে তিনি বেলা ১১ টার সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে যান। এসময় শতশত নেতাকর্মীদেরকে হাত নেড়ে তিনি শুভেচ্ছা জানান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান,কারগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি সরাসরি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যাবেন পিন্টু। সেখান থেকে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আ.লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ১০ই অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।
গত ১ ডিসেম্বর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেয়া রায়কে অবৈধ বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্জ এ রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর- ভূঞাপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।
চস/স