২০২৪ সালের ৩৬ জুলাইয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, সেদিন বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় নেমে এসেছিল।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রফেসর সাইফুল্লাহ, কোতোয়ালী থানা আমীর মুহাম্মদ আমির হোসাইন, ডবলমুরিং থানা আমীর ফারুকে আজম, চকবাজার থানা আমীর আহমেদ খালেদুল আনোয়ার, পাঁচলাইশ থানা আমীর মাহবুবুর রহমান রুমি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগের শত্রæরা নতুন পরিচয়ে আবারও মাঠে নেমেছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে বিরাট একটি অধ্যায় ছাত্রজনতাকে আবারও অতিক্রম করতে হবে। না হয় ১৯৭১ সাল পরবর্তী সেই কালো অধ্যায়ের সম্মুখীন হবে দেশ। প্রকৃত আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করে আমাদের সংগঠিত করতে হবে যাতে ১৯৭১ সালের মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার উদ্ভব না হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া যাবে না। বুর্জুয়াদের টাকাপয়সা ধনসম্পদ সামলানোর জন্য এক শ্রেণির মানুষ দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।
নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল ইসলাম বিরোধী, যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে দলটি। তারা গণতন্ত্রও ধ্বংস করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশের লেজুড়বৃত্তি করে সর্বশেষ সাড়ে ১৫টি বছর তারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ এর বিনিময়ে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল।
মতবিনিময় সভায় শহিদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহিদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র মা কহিনুর আক্তার, শহিদ কাউছার হামিদের মা নুর জাহান। আহতদের মধ্যে তাওহিদুল ইসলাম, নুর হোসেন, মোহাম্মদ ওয়ালি হোসেন, মিছবাহ উদ্দিন, মাহবুব তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, সাইয়েদ মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ ইমরান হোসেন, আহত জুবায়েরের মা দিলোয়ারা বেগম প্রমুখ।
চস/স