উত্তর সিকিমের পাহাড়ে চলছে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি । তার জেড়ে তিস্তা নদীর পানি হু-হু করে বেড়েই চলেছে। পানি নিয়ন্ত্রণে খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট।
শনিবার (৩১ মে) বিকাল ৬টায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫১.২৭ সেন্টিমিটার পরিমাপ করা হলেও রাত ৯টায় সেই পানি আরও ৬৫ সেন্টিমিটার বেড়ে দাঁড়ায় ৫১.৯২ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২.১৫ সেন্টিমিটার। ফলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে রাতে লিখেছেন রাত ১১টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ,ঢাকা ও সিলেটে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত শুরুর আশংঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে তিনি সিকিম পাহাড়ে ও আসামে ভারী বৃষ্টিপাতের আগাম সর্তকতা দিয়েছিলেন। যা বর্তমানে চলমান।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বন্যা ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র এবং ডালিয়াস্থ তিস্তার পানি পরিমাপক গেজ রিডার নুরুল ইসলাম জানান, তিস্তা ব্যারাজর ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। উজানের ঢল বাড়ছে। যে কোন সময় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, উজানের চলমান ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। যে হারে পানি বাড়ছে তা যেকোন সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে আমরা তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। আমরা নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদে সরে থাকতে বলা হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নদী অববাহিকায় অবস্থান নিয়ে নজরদারি করছি।
চস/স


