spot_img

২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

মাদকের চালান ধরিয়ে দেওয়ায় চট্টগ্রামে যুবক হত্যা, মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

এক বছর পূর্বে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে হাসান তারেককে হত্যার ঘটনায় করা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছে থেকে ১২ বোতল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলাউদ্দীন প্রকাশ আলো (৪১) নোয়াখালীর সুধারাম থানার মাসিমপুর এলাকার হাজী তোফায়েল আহমেদের ছেলে।

গ্রেপ্তার আলাউদ্দীনের বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় হত্যা, চুরি ও মাদকসহ ১৮টি মামলা রয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত বছরের ১০ জানুয়ারি হাসান তারেক একটি মাদকের চালান পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন। চালানটির মালিক ছিলেন শওকত আকবর, আলাউদ্দিন আলো ও মোর্শেদ আলম প্রকাশ সোহেল। ওই মাদকের চালানসহ আলাউদ্দিন এবং মোর্শেদ আলম প্রকাশ সোহেল গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খাটেন। পরে জামিনে বের হয়ে আসেন তারা। জামিনে আসার পর তারা হাসান তারেককে হত্যার পরিকল্পনা করে। আলাউদ্দিন, শওকত এবং মোর্শেদ জামালখান এলাকার একটি গলিতে বসে ওই হত্যার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টায় আলাউদ্দিন তার সহযোগী মোর্শেদ ও শওকত কাজির দেউড়ি এলাকায় ছিলেন। সাকিব এবং ইকবাল হোসেন বাবু নামে আরও দুইজন হাটহাজারী এলাকা থেকে একটি গ্রাম সিএনজি নিয়ে কাজির দেউড়িতে এসে আলাউদ্দিন ও শওকতের সাথে কথা বলেন। শওকত হত্যাকাণ্ডের খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা আলাউদ্দিনের হাতে দেন। সকলেই সিএনজি নিয়ে গরীবউল্লাহ শাহ মাজারের সেজুতি ট্রাভেলসের কাউন্টারে সামনে যায়। শওকত সিএনজি থেকে নেমে হাসান তারেককে সিএনজিতে তুলে দেয়। ওই সিএনজিতে করে হাসান তারেককে বায়েজিদ লিংক রোডে নিয়ে গিয়ে নাইলনের রশি দিয়ে প্রথমে তার হাত বেঁধে ফেলে। পরে রশি তারেকের গলায় পেঁচিয়ে দুই পাশ থেকে দুইজনে টান দেয়। প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে তারেক মারা যায়। তারেকের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আলাউদ্দিনসহ অন্য আসামিরা তারেকের লাশ রাসমনি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ফেলে দেয়। লাশ ফেলে দেওয়ার পরে আসামিরা ওয়াসার মোড়ে কুটুম বাড়ির রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাতের খাওয়া-দাওয়া করে। খাওয়া শেষে বাইরে এসে আলাউদ্দিন প্রকাশ আলো শওকত থেকে পাওয়া ২০ হাজার টাকা থেকে মোর্শেদকে ৫ হাজার, সাকিবকে ২ হাজার, ইকবাল প্রকাশ বাবুকে ২ হাজার এবং সিএনজি চালককে ২ হাজার টাকা দেন। টাকা পেয়ে আসামিরা যার যার মতো করে বাসায় চলে যায়। সাকিব ও ইকবাল হোসেন বাবু সিএনজি যোগে হাটহাজারী চলে যায়।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss