র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ২১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য দিন ধার্য থাকলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল বিশেষ শুনানির অনুমতি দেন। পরে শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে শুনানি করেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমির হোসেন। এ ছাড়া পলাতক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয় আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও সুজাদ মিয়া। শুনানিতে প্রত্যেক আইনজীবী নিজ নিজ মক্কেলের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরে অব্যাহতির আবেদন জানান।
এরপর প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আবেদন করেন।
এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৭ জন আসামি রয়েছেন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন—ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কামরুল হাসান, মাহাবুব আলম ও কে এম আজাদ; কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর-প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও সারওয়ার বিন কাশেম। গ্রেপ্তার ১০ আসামিকে আজ কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ সাতজন আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন—সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, এম খুরশীদ হোসেন, হারুন অর রশিদ এবং লে. কর্নেল (অব.)খায়রুল ইসলাম।
চস/স


